দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা উপজেলার দুই নির্বাহী কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত পৃথক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই বিধিনিষেধ জারির কথা জানানো হয়।
রোববার রাত ১১টা থেকে এই দুই উপজেলায় মাইকিং করে জনসাধারণকে এই আদেশের বিষয়টি জানানো শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দুর্গাপুর উপজেলায় রয়েছে ৯ জন।
তাছাড়া গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিনই এই দুইটি উপজেলায় কয়েকজন করে আক্রান্ত হয়েছে বলে সিভিল সার্জন মো. সেলিম মিয়া জানান।
তিনি বলেন, “সীমান্তবর্তী এই দুইটি উপজেলার গ্রামগুলোতে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। সেখানে জরুরি পদক্ষেপ নিয়ে নিয়ন্ত্রণ করার বিকল্প নেই এই মুহূর্তে।”
দুই উপজেলার গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কয়েকদিন ধরে সীমান্তের দুই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় করোনাভাইরাসের প্রকোপ আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে থাকায় মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা চিন্তা করে এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।
বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দুর্গাপুরের সীমান্তঘেঁষা কুল্লাগড়া ও দুর্গাপুর ইউনিয়ন এবং কলমাকান্দার রংছাতি, খারনৈ ও লেংগুরা ইউনিয়নের দোকানপাট সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে।
মৃতদেহ সৎকার বা জরুরি চিকিৎসা সেবায় মাস্ক পরে, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ জীবাণুনাশক ব্যবহার করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
দিনের বেলা কাঁচাবাজারগুলো উম্মুক্ত স্থানে নিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। করোনা আক্রান্ত রোগীর বাড়ি লকডাউনের আওতায় থাকবে।
এসব নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জারি করা বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন দুর্গাপুর ইউএনও মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান ও কলমাকান্দা ইউএনও মো. সোহেল রানা।
জেলা প্রশাসক কাজি মো. আব্দুর রহমান বলেন, করোনার সংক্রমণ যাতে না বাড়ে সেজন্য কলমাকান্দা ও দুর্গাপুর উপজেলায় কঠোর বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে। এই দুইটি উপজেলা ভারত সীমান্তঘেঁষা এলাকা। সেখানে কয়েকদিন ধরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে চলেছে।
করোনা যাতে বেশি ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্যেই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।