রোববার রাত ১২টার দিকে উপজেলার পাঁচহাট গ্রামের মো. মোক্তার আলীর ছেলে মো. মহসিন মিয়ার (৪০) মৃত্যু হলে তার পরিবার এই অভিযোগ তোলে।
মহসিন মিয়ার স্ত্রী আমেনা আক্তার বলেন, মহসিন কিছুদিন ধরে শারীরিক দুর্বলতায় ভুগছিলেন। রোববার সন্ধ্যায় এলাকার পল্লী চিকিৎসক তোফাজ্জল হোসেনের কাছে গেলে তিনি স্যালাইন ও ইনজেকশন দেন। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে মহসিন মিয়ার অবস্থায় অবনতি হয়। একপর্যায়ে যৌনাঙ্গ ও পায়ুপথ দিয়ে রক্ত বের হয়। রাত ১২টার দিকে তিনি মারা যান।
“ভুল চিকিৎসা করে আমার স্বামীরে ডাক্তার মেরে ফেলেছে।আমার স্বামী তরতাজা ছিল। আমি এই ডাক্তারের বিচার চাই।”
খালিয়াজুরী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আতাউর গনি ওসমানী বলেন, মহসিন মিয়াকে যে ইনজেকশন ও স্যালাইন দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে তাতে তার মৃত্যু হওয়ার কথা নয়। তবে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বা দ্রুত স্যালাইন পুশ করার কারণে তার মৃত্যু হতে পারে। তদন্ত করলে সঠিক কারণ পাওয়া যাবে।
পল্লী চিকিৎসক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, “আমার চিকিৎসা ঠিকই আছে। কোনো ভুল চিকিৎসা হয়নি। কেন তার মৃত্যু হয়েছে তা আমি জানি না।”
খবর পেয়ে সোমবার বিকালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মরদেহের ময়নাতদন্তের উদ্যোগ নেয়।
খালিয়াজুরী থানার ওসি মো. মজিবুর রহমান বলেন, পুলিশ এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে।