হাসপাতালের তত্বাবধায়ক হারুন অর রশিদ জানান, রোববার সকাল থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান। তাদের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন।
এর আগের দিনও ঝিনাইদহে চারজনের মৃত্যু হয়।
এ নিয়ে জেলায় মোট ৭০ জনের মৃত্যু হল বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন সেলিনা বেগম।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ২০৫ জনের পরীক্ষায় ৯৫ জনের পজিটিভ এসেছে। শনাক্তের হার ৪৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল তিন হাজার ৪৯১ জন।
সিভিল সার্জন জানান, এখন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে করোনাভাইরাস ওয়ার্ডে ৫০ জন চিকিৎসাধীন আছেন। অক্সিজেনের চাহিদা বাড়ায় ঘাটতির আশংকা করা হচ্ছে।
“গত এক সপ্তাহে উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসার পথে এক কলেজ শিক্ষকসহ তিনজন মারা গেছেন।”
সরেজমিনে দেখা গেছে, সদর হাসপাতাল ও উপজেলা হাসপাতালগুলোয় পরীক্ষার জন্য ভিড় বেড়েছে। সকাল থেকে পরীক্ষার জন্য লম্বা লাইন পড়ছে। করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও সংক্রমণ বাড়লেও মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। মাস্ক ছাড়াই হাটবাজারে ঘোরাঘুরি করছে। নিরাপদ দূরত্ববিধি মানছে না।