তাদের ছয়জন আক্রান্ত ছিলেন আর অন্যরা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী।
পরিচালক বলেন, রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টার মধ্যে বিভিন্ন সময় তারা মারা যান। তাদের মধ্যে চারজন পুরুষ আর নয়জন নারী। রাজশাহীর তিনজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ছয়জন, নাটোরের তিনজন আর নওগাঁর রয়েছেন একজন। দুইজন মারা গেছেন আইসিইউতে। তাদের মধ্যে ছয়জনের বয়স ৬১ বছরের ওপরে। অন্যদের মধ্যে ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে তিনজন আর ৩১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে রয়েছেন চারজন।
এ নিয়ে চলতি মাসে এ হাসপাতালের করোনাভাইরাস ইউনিটে ২১৬ জন মারা গেলেন বলে জানান পরিচালক।
শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬২ জন। তাদের মধ্যে রাজশাহীর ৪৫ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নয়, নাটোরের তিন, নওগাঁর তিন আর পাবনা ও জয়পুরহাটের একজন করে রয়েছেন। একই সময় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৩৪ জন।
সোমবার সকাল পর্যন্ত ৩০৯ বেডের বিপরীতে রোগী আছেন ৪০২ জন। তাদের মধ্যে রাজশাহীর ২৬৪ জন আর চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৭০ জন রয়েছেন।
বাড়ছে কোভিড ওয়ার্ড
পরিচালক শামীম ইয়াজদানী বলেন, হাসপাতালে আক্রান্ত বা উপসর্গ নিয়ে যেসব রোগী আসছেন তাদের সবাইকে ভর্তি করা হচ্ছে না। যাদের অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে শুধু তাদের ভর্তি করা হচ্ছে। অন্যদের চিকিৎসাপত্র দিয়ে বাড়ি পাঠানো হচ্ছে। তারা বাড়ি থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর পরও হাসপাতালে সব রোগীকে বেড দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
“পরিস্থতি সামাল দিতে হাসপাতালের আরও একটি সাধারণ ওয়ার্ডকে করোনাভাইরাস ওয়ার্ডে রূপান্তর করার কাজ চলছে। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে এখন অক্সিজেন সরবরাহ লাইনের কাজ চলছে। সোমবারই লাইন বসানোর কাজ শেষ হলে সেখানে রোগী রাখতে পারব।”
শনাক্ত কমেছে
রাতে প্রকাশিত নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, আগের দিনের চেয়ে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ কমে করোনা শনাক্তের হার হয়েছে ৪৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। যা আগের দিন শনিবার ৪৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ। এর আগে গত শুক্রবার ৩০ দশমিক ০৬, বৃহস্পতিবার ৪৩ দশমিক ৮৭, বুধবার ৪১ দশমিক ৫০, এবং মঙ্গলবার ছিল ৪৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
হাসপাতাল পরিচালক জানান, রোববার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ল্যাবে তিন জেলার ৫৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা পজেটিভ এসেছে ২৪৫ জনের।
রাজশাহী ছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। যা শনাক্তের হার ৪৮ দশমিক ৭১ শতাংশ। এছাড়াও নাটোরের একজনের নমুনা পরীক্ষা করে পজেটিভ এবং বিদেশগামী দুইজনের নমুনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ এসেছে।