জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে তাদের মৃত্যু হয় বলে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশিদ জানান।
এছাড়া মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপসর্গ নিয়ে একজন মারা গেছেন বলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর সাত্তার জানিয়েছেন।
এদিকে রোববার সকালে ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া ল্যাব থেকে ১৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল এসেছে; যার মধ্যে ৯০ জনের করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে বলে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম জানান।
শনাক্তের হার ৫৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এনিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৩৯৬ জনে দাঁড়াল। আর ২৪ ঘণ্টায় চাজনসহ মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৬৬ জনে দাঁড়াল।
শহরের চলাচলে বিধি নিষেধ থাকলেও লোকজন তা মানছে না; হাট-বাজারগুলোতে গাদাগাদি করে চলাচল করতে দেখা গেছে।
শৈলকুপা বাজারের ব্যবসায়ী রাশেদুল হাসান বলেন, “মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছে না। স্বাস্থ্যবিধি মানার পরোয়া করছে না কেউ। এতে করোনা আক্রান্ত বেড়ে যাচ্ছে।”
এদিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ৫০ বেডের কোভিড ওয়ার্ডে ৫১ জন রোগ ভর্তি আছে। রোগীর চাপ সামাল দিতে ৫০ বেডের নতুন কোভিড ওয়ার্ড খোলা হয়েছে।
সদর হাসপাতালে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য প্রতিদিনই ভিড় হচ্ছে গেছে। মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে নমুনা দিচ্ছে বলে জানান তত্বাবধায়ক।