শুক্রবার জুন রাত সাড়ে নয়টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত রংপুরের কোতোয়ালী আমলি আদালত-৪ এর বিচারক কেএম হাফিজুর রহমান তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
ত্ব-হার সঙ্গে জবানবন্দি দিয়েছেন তার সফরসঙ্গী আবু মুহিত আনছারী ও গাড়িচালক আমির উদ্দিন।
কোতোয়ালী থানার ওসিআব্দুর রশিদ বলেন, “সার্বিক পরিস্থিতি আদালতের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। আদালত বিচার-বিশ্লেষণ করে তিনজনকে নিজ জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছেন।”
গত ১০ জুন রাত থেকে কোনো খোঁজ মিলছিল না আবু ত্ব-হা এবং তার সঙ্গী আব্দুল মুহিত, মোহাম্মদ ফিরোজ এবং গাড়িচালক আমির উদ্দিনের।
সেদিন বিকেল ৪টার দিকে ওই তিনজনসহ আবু ত্ব-হা রংপুর থেকে ভাড়া করা এক গাড়িতে ঢাকার পথে রওনা দেন। রাত আড়াইটার দিকে স্ত্রীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে তার কথাও হয়। কিন্তু তারপর থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়ার কথা বলেছিলেন তার স্ত্রী।
বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে ১১ জুন বিকেলে রংপুর কোতোয়ালি থানায় জিডি করেন ত্ব-হার মা আজেদা বেগম।
দশ দিন পেরিয়ে শুক্রবার দুপুরে রংপুর মহানগরীর মাস্টার পাড়া এলাকায় প্রথম স্ত্রী হাবিবা নূরের বাবার বাড়িতে উপস্থিত হন ত্ব-হা। পরে বেলা পৌনে ৩টার দিকে তাকে রংপুর কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। সেখান থেকে তাকে নেওয়া হয় ডিবি কার্যালয়ে।
পরে রাতে ত্ব-হা, মুহিত ও আমিরকে আদালতে নেওয়া হয়।