জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে রাস্তাঘাট ভেঙে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগ অসহনীয় হয়ে উঠেছে।

হাসিবুর রহমান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 June 2021, 11:56 AM
Updated : 18 June 2021, 11:57 AM

করোনাভাইরাস মহামারীতে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা না থাকলেও বিভিন্ন দরকারে তারা আসেন। তাছাড়া শিক্ষক-কর্মচারীদের আসতে হয়। এতে তারা প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়েন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে, শহীদ মিনারের সামনের রাস্তা, বটতলা এলাকা থেকে গেরুয়া গ্রাম পর্যন্ত বড় ধরনের জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া ক্যাম্পাসের ভেতরে ছোটখাটো বিভিন্ন জায়গায় জলাবদ্ধতা লেগেই থাকছে।

গেরুয়া এলাকায় থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আলকামা আজাদ।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। কিন্তু অনলাইনে আমাদের শিক্ষা-কার্যক্রম চলছে। ফলে আমাদের অনলাইনে সংযোগ থাকাটা জরুরি। যেটা গ্রাম থেকে সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে এলাকায় থাকতে হচ্ছে। বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজে প্রায়ই বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
“কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে রাস্তাঘাটের অবস্থা খুব খারাপ। একটু বৃষ্টি হলেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বিশেষ করে গেরুয়া থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলকা পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। সমস্যা বেশ কয়েক মাস ধরেই। সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি দেওয়া উচিত।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবু নাঈম তরুণ সাভার থেকে ক্যাম্পাসে আসা-যাওয়া করেন।
তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন অফিশিয়াল কাজে আসতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেইট দিয়ে চলাচল করি। অল্প বৃষ্টিতেই এখানে পানি জমে যায়। এতে পরনের কাপড় নষ্ট হয়।”

তিনি দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।

পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাস্তা আমি ব্যবহার করে থাকি। বিভাগের কাজে আমাকে ব্যবহার করতে হয়। উন্নয়নের কাজে বিভিন্ন রাস্তা ভঙ্গুর অবস্থায় আছে। রাস্তাগুলো মেরামত না হওয়ায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছি।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মচারী নাম না জানিয়ে বলেন, তিনি গেরুয়া এলাকায় থাকেন।

“প্রায় এক বছর ধরে গেরুয়া থেকে বটতলা পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা দেখে আসছি। বৃষ্টির কারণে এখন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এই রাস্তা দিয়ে চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। বেশি সময় খরচ করে বাধ্য হয়ে অন্য এলাকা দিয়ে যাতায়াত করছি।”

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক রহিমা কানিজকে কয়েকবার মোবাই ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন বলেন, “উন্নয়নের কাজে রাস্তার কিছুটা সমস্যা হয়েছে। কিছু রাস্তা আমরা ঠিক করেছি। আরও কিছু রাস্তায় এখনও সমস্যা আছে। উন্নয়নমূলক কাজ করতে গিয়ে যেসব সমস্যা রয়েছে তা নিয়ে আমাদের উদ্যোগ আছে। যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব এসব মেরামতের কাজ করব।”