কুড়িগ্রাম পৌরসভায় বিধিনিষেধ জারি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় কুড়িগ্রাম পৌরসভার পুরো এলাকায় শুক্রবার থেকে বিশেষ বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে।

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 June 2021, 12:51 PM
Updated : 17 June 2021, 12:51 PM

বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির এক ভার্চুয়াল মিটিং-এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান এ কমিটির সদস্য সচিব সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান।

জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, গত দেড় সপ্তাহ ধরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি সপ্তাহে মারা গেছে আরও দুজন। এ নিয়ে জেলায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২৭ জনে।

কুড়িগ্রাম পৌরসভায় সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি হওয়ায় গত ১৫ জুন কুড়িগ্রাম পৌরসভার ২, ৩ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এক সপ্তাহের জন্য বিশেষ বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এরপরও সংক্রমণের মাত্রা আরও বেড়ে যাওয়ায় আগামী শুক্রবার থেকে গোটা কুড়িগ্রাম পৌর এলাকাকে বিশেষ বিধিনিষেধের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি বলেন তিনি।

এই বিধি নিষেধের সময় দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। সব যানবাহনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে পরিবহন করতে হবে।

প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হলে কৈফিয়ত দিতে হবে। হোটেল-রেস্তোরাঁ খোলা থাকলেও শুধুমাত্র পার্সেল সরবরাহ করতে পারবে।

বিশেষ বিধিনিষেধ কার্যকর করতে শহরে প্রবেশের তিনটি পয়েন্টে পুলিশের চেকপোস্ট স্থাপন করা হবে। এ চেক পোস্টগুলো হচ্ছে, রংপুর থেকে কুড়িগ্রামে প্রবেশ মুখ ত্রিমোহনী বাজার, নাগেশ্বরী-ভূরুঙ্গামারী যাওয়ার পথে ধরলা ব্রিজ এবং চিলমারী-উলিপুর উপজেলা যাওয়ার পথে টেক্সটাইল মুখ এলাকা। এছাড়া শহরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম চলছে।

সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান জানান, গত ১০ জুন থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত ২১৫ জনের কোভিড-১৯ টেস্ট করা হয়েছে। এরমধ্যে ৯০ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ ৯০ জনের মধ্যে ৫৮ জনই কুড়িগ্রাম পৌরসভা এলাকার।

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শহিদুল্লাহ লিংকন জানান, ৫০ বেডের করোনা ওয়ার্ডে ২২ জন রোগী ভর্তি আছে। ফলে রোগীর সংখ্যা বাড়লে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিপাকে পড়বে।

অক্সিজেন ঘাটতির শঙ্কার কথা উল্লেখ করে তিরি আরও জানান, এ হাসপাতালে প্রায় তিন শত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। বেডে সংকুলান না হওয়ায় অনেক রোগী মেঝেতে অবস্থান করছে। এ হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসকসহ লোকবল সংকট রয়েছে।