‘পরকীয়ায় বাধায়’ স্বামীর আত্মহত্যাচেষ্টার পর কারাগারে

ফেনীর সোনাগাজীতে পরকীয়া প্রেমের প্রতিবাদ করায় গলায় দঁড়ি দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন নামে এক ব্যক্তি। অনিবার্য মৃত্যু থেকে বেঁচে গেলেও স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় তিনি এখন কারাগারে।

ফেনী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 June 2021, 11:02 AM
Updated : 17 June 2021, 11:10 AM

বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

বুধবার রাতে উপজেলার মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের মীর্জাপুর গ্রামের শ্রীরূপ সাধু বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তার ধর্মরাজ দাস (৪২) উপজেলার মঙ্গলকান্দি ইউনিয়ন মীর্জাপুর গ্রামের শ্রীরূপ সাধু বাড়ির কালা জলদাসের ছেলে। পেশায় তিনি জেলে।

সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম জানান, আত্নহত্যার চেষ্টার ঘটনায় তার স্ত্রী বাদী হয়ে স্বামীকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ ধর্মরাজকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার বাদী স্ত্রী রত্না রানী দাস জানান, ২১ বছর আগে ধর্মরাজের সাথে তার বিয়ে হয়। তাদের ঘরে চারটি মেয়ে রয়েছে,  তাদের তিন মেয়েই প্রতিবন্ধী।

তার স্বামী ধর্মরাজের চার বছর ধরে পাশের ইউনিয়নের দুই সন্তানের মা এক নারীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে।

ওই নারীর সাথে পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্ত্রী রত্না রানীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন গ্রেপ্তার ধর্মরাজ।

মেয়েদের কথা ভেবে চার বছর ধরে এ নির্যাতন সহ্য করে যাচ্ছেন তিনি। এ নিয়ে গ্রামে একাধিকবার সালিশ বসলেও পরকীয়ার আসক্তি থেকে ধর্মরাজকে ফেরাতে পারেনি কেউ বলে অভিযোগ তার স্ত্রীর।

তিনি বলেছেন, “হিন্দু ধর্মে একাধিক বিয়ের বিধান না থাকলেও রত্না রানী দাস তার মেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন।”

গত বুধবার সন্ধ্যায় এ নিয়ে এই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এর ঘণ্টা খানেক পর  তাদের ঘরের শোবার ঘরের দরজা বন্ধ করে আড়ার সাথে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান ধর্মরাজ।

কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে রত্না রানী চিৎকার শুরু করলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দা দিয়ে ফাঁসের রশি কেটে দেয় লোকজন। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ধর্মরাজ। এরপর তাকে উদ্ধার করে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

মঙ্গলকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বাদল বলেন, “নাম ধর্মরাজ হলেও সে অধর্মীয় কাজ করে চলেছে। তার কারণে দুটি পরিবারে চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে।”