জেলার পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন জানান, পারিবারিক বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছেন তারা। প্রাথমিক তদন্তে গৃহকর্তা হিফজুর রহমানকে সন্দেহ করার মত কারণ পেয়েছে পুলিশ।
বুধবার সকালে গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের বিন্নাকান্দি দক্ষিণপাড়া গ্রামের হিফজুর রহমানের ঘর থেকে তার স্ত্রী আলিমা বেগম (৩২), ১০ বছরের ছেলে মিজান আহমদ ও তিন বছরের মেয়ে তানিশা আক্তারের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এসকই সময় গৃহকর্তা হিফজুরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার রাতে হিফজুরের আরেক ছেলে আফসান আহমদ (৫) তার মামার বাড়িতে ছিল। সে সুস্থ আছে।
পুলিশ সুপার বলেন, “বুধবার ভোরে আত্মীয় ফয়েজ মিয়াকে মোবাইলে কল দিয়ে হিফজুর বলেন, ‘আমি অসুস্থ। হাসপাতালে নিতে হবে। টাকা-পয়সা নিয়ে দ্রুত চলে আসেন।’
“স্থানীয়রা ছবি তুলতে গেলে ক্যামেরার ফ্লাশে চোখ খুলে আবার বন্ধ করে ফেলেন হিফজুর। স্থানীয়রা তখন তার কাছে গিয়ে দেখেন শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক। তার শরীরে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন আছে। তাকে দ্রুত সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে পুলিশি পারায় তার চিকিৎসা চলছে। হিফজুরের শরীরে গুরুতর কোনো আঘাত নেই।”
পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘প্রাথমিকভাবে পুলিশ দুটি বিষয় নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। পারিবারিক কলহ ও জমিসংক্রান্ত বিরোধ। তবে ঘটনাস্থলের আলামত, হিফজুরের শরীরের আঘাত ও ফোনকলের বিষয়গুলো দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে, পারিবারিক কলহের কারণেই হিফজুর স্ত্রী-সন্তানদের বঁটি দিয়ে কুপিয়ে ও জবাই করে খুন করেন। এরপর নিজের শরীরে কিছু আঘাত করে মৃতের মত পড়ে থাকার ভান করেন।”
হিফজুরের পরিবারে কলহ ছিল বলে প্রতিবেশী জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি দেখিয়ে নিহত নারীর বাবা আইয়ুব আলী বুধবার রাতে গোয়াইনঘাট থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ খুনি গ্রেপ্তারে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন থানার ওসি আবদুল আহাদ।