এর আগে ঘোষিত ১১ দফা বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছিল ১৬ জুন পর্যন্ত।
বুধবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ।
এর আগে তিনি জেলা করোনা নিয়ন্ত্রণ কমিটি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাদা আলদা সভা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক বলেন, বুধবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর হবে। বিধিনিষেধ চলাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খোলা যাবে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
খাবারের দোকান ভোর ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকলেও বসে খাওয়া যাবে না।
সব ধরনের দৈনিক ও সাপ্তাহিক হাট-বাজার বন্ধ থাকবে। আন্তজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকবে।
তবে আম পরিবহনে ব্যবহৃত সবধরনের যানবাহন চলবে।
জেলার অভ্যন্তরে রিকশায় একজন এবং ইঞ্জিনচালিত অটোরিকশা ও সিএনজি অটোরিকশায় দুইজন করে যাত্রী বহন করা যাবে।
জনসমাবেশ হয় এমন সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান করা যাবে না।
মোট ১১টি বিধিনিষেধের কথা উল্লেখ করেছেন জেলা প্রশাসক।
তিনি আরও বলেন, “জেলায় সংক্রমণের হার কমলেও করোনা সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণ ও নিম্নগামী রাখার জন্য বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে।”
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২৫ মে চাঁপাইনবাবগঞ্জে সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। পরে ৭ জুন পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। এরপর ৮ জুন থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত বিশেষ বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সিভিলে সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরীসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।