বুধবার সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোভিড আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে সিভিল সার্জন ড. হাবিবুর রহমান জানান।
মৃত আবেদ আলী (৫২) ফুলবাড়ি উপজেলার সীমান্ত লাগোয়া ফুলবাড়ি ইউনিয়নের নাখারজান গ্রামের আলিমুদ্দিনের ছেলে।
আবেদের ছেলে মমিন বলেন, গত ৫ জুন তার বাবার করোনাভাইরাস শনাক্ত হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১৩ দিন করোনা আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন থাকার পর সকাল সাড়ে ৭টায় বাবার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানান, আবেদ আলীর বাড়ি নাখারজান সীমান্তের ৯১৪ নম্বর আন্তর্জাতিক সীমানার একশ গজ অভ্যন্তরে বাংলাদেশের ভেতর।অপরদিকে তার শ্বশুরবাড়ি ভারতীয় সাহেবগঞ্জ থানার সেউটি-২ গ্রামে নো ম্যান্সল্যান্ডের অভ্যন্তরে।
পেশায় সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী আবেদের দোকান রয়েছে নাগেশ্বলরীর গংগারহাট বাজারে। তিনি গ্রামগঞ্জ থেকে ধানের পাইকারীও করেন। সীমান্ত ঘেঁষা শশুরবাড়ির লোকজন গোপনে আবেদের বাড়িতে আসা যাওয়া করত এবং আবেদও সেখানে যাতায়াত করতেন।
আবেদের মৃত্যুর পর এলাকায় করোনাভাইরাসের ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়ানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এদিকে গত দুই সপ্তাহে ফুলবাড়ি উপজেলায় এক শিশুসহ ১১ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে সিভিল সার্জন জানান।