চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় চলছে ১৪ দিনের লকডাউন

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় চুয়াডাঙ্গায় দুই সপ্তাহের লকডাউন শুরু হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 June 2021, 05:26 PM
Updated : 15 June 2021, 05:44 PM

মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এই লকডাউন আগামী ২৮ জুন পর্যন্ত চলবে।

লকডাউনের প্রথম দিন ঢিলেঢালা ভাব থাকলেও প্রশাসনিকভাবে খুব কড়াকড়ি করা হয়নি। নির্দেশনা উপেক্ষা করে যারা ঘরের বাইরে এসেছিলেন তাদের সতর্ক করা হয়েছে।

তবে বুধবার থেকে লকডাউন আরও কঠোর করা হবে বলে উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে।  

সরেজমিনে দামুড়হুদা উপজেলা সদর ও বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, নিত্যপণ্যের দোকান খোলা রাখার সুযোগে অনেক দোকানপাট খোলা থাকতে দেখা গেছে।

নির্দেশনা ছিল হোটেল খোলা রাখা যাবে; কিন্তু কেউ বসে খেতে পারবে না। কিন্তু উপজেলা সদরের দুয়েকটি হোটেলে বসে অনেকে খাবার খেতে দেখা গেছে।

নির্দেশনা অমান্য করে রাস্তায় ইজিবাইক, ভ্যান ও মোটরসাইকেল চলতেও দেখা গেছে।

সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও পুলিশ বাহিনীকে দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে লকডাউন সফলের চেষ্টা করতে দেখা যায়। এসময় অনেক যানবাহন থামিয়ে চালকে সতর্ক করে ফিরিয়ে দেন কর্মকর্তারা।

দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল বলেন, দামুড়হুদা ভারত সীমান্তবর্তী একটি উপজেলা। সম্প্রতিক সময়ে এই উপজেলায় করোনা সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে থাকে।

এ অবস্থায় সোমবার জরুরি বৈঠকের পর জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার পুরো দামুড়হুদা উপজেলা এলাকায় ১৪ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেন।

ওই ঘোষণায় বলা হয়, সকাল ৮টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত উপজেলা এলাকায় কাঁচাবাজার খোলা থাকবে। কোনো যানবাহন উপজেলার বাইরে যেতে এবং উপজেলায় ঢুকতে পারবে না। শপিং মল, মার্কেট বন্ধ থাকবে। খাবারের হোটেল খোলা থাকবে, তবে সেখানে বসে কেউ খেতে পারবেন না।

দর্শনা পৌরসভা এবং উপজেলার সব ইউনিয়ন লকডাউনের আওতায় রয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. আওলিয়ার রহমান জানান, দেশে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলায় মারা গেছে ৭১ জন। মোট সংক্রমিত হয়েছে দুই হাজার ৩২৯ জন। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায়ও জেলায় ১০৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে আক্রান্ত পাওয়া গেছে ৫০ জন।

তিনি বলেন, সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া শুরু হলে গত ২ জুন দামুড়হুদা উপজেলার সাতটি গ্রামে চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এরপর ৫ জুন আরও নয়টি গ্রামে চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। তারপরও সংক্রমণ বাড়ছিল। তাই পুরো উপজেলা লকডাউন করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান জানান, তিনি সকাল থেকে সড়কপথে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরেছেন। যারা অপ্রয়োজনে বাইরে আসছেন তাদের প্রথম দিনের লকডাউন হিসেবে সামান্য জরিমানা করে সতর্ক করা হয়েছে।

তবে বুধবার থেকে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে তিনি জানান।