মঙ্গলবার উপজেলা প্রশাসনের জারি করা এক গণ বিঞ্জপ্তিতে বিকাল ৫টার পর সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনাসহ ১২ দফা কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ভারত সীমান্তবর্তী যশোরের এই উপজেলায় সর্দি-কাশি-জ্বরে আক্রান্ত রোগী হঠাৎ বেড়ে গেছে। এসব রোগীর মধ্যে জ্বর নিয়ে ভীতি থাকলেও করোনাভাইরাস পরীক্ষায় তেমন আগ্রহ দেখা নেই। মানুষকে জ্বর সর্দি কাশি নিয়ে বাজার-ঘাটেও অবাধে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে।
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে উপজেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জনপ্রতিনিধিরা কঠোর অবস্থানে থাকলেও মাঠ পর্যায়ে তার প্রভাব না পড়ায় বাধ্য হয়ে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মঞ্জু।
গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। বিকাল ৫টার পর সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে। মোটরসাইকেলে একজন ও ইজিবাইকে দুই জনের বেশি যাত্রী বহন করা যাবে না।
সকল প্রকার গণজমায়েত, সভা সমাবেশ, মিছিল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। হোটেল রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়া যাবে না এবং চায়ের দোকানে বেঞ্চ, কেরামবোর্ড ও টেলিভিশন রাখা যাবে না। বিনা কারণে সন্ধ্যা ৬টার পর ঘরের বাইরে আসা যাবে না।
প্রতিদিন কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে জানিয়ে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলি জানান, মঙ্গলবার শার্শা উপজেলায় ৩০টি নমুনার মধ্যে ২২ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সোমবার ৫৫ নমুনায় পজিটিভ হয়েছে ১৭টি এবং রোববার ৩৭টি নমুনায় পজিটিভ হয়েছে ১৯টি।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাসনা শারমিন মিথি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মানুষকে সচেতন করার জন্য গণবিঞ্জপ্তি জারি করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদের পক্ষে বিভিন্ন ইউনিয়নে মাইকিং করা হচ্ছে।
“মাস্ক সচেতনতার জন্য আমি ও ইউএনও স্যার প্রতিদিনই বেরুচ্ছি। মাঠ পর্যায়ে মানুষকে সচেতনতার কাজ করছি।”
তারপরও কেউ বিধিনিষেধ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।