নিহত মনীষা সরকার মুকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারী গ্রামের প্রদীপ সরকার ও বীণা সরকার দম্পত্তির ছোট মেয়ে।
মঙ্গলবার দুপুরে বাটিকামারী গ্রামের প্রতিবেশী মনীষার মামা তারপাদ সরকারের বাড়ির টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয় বলে মুকসুদপুর থানার পরদির্শক মো. আবু বকর মিয়া জানান।
মনীষার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ আড়াইশ বেড জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পরিদর্শক আবু বকর বলেন, মঙ্গলবার তারাপদ সরকারের মেয়ে বাসনা সরকার টয়লেটের পাশে একটি ছুরি দেখে মুকসুদপুর থানার এসআই মশিউর রহমানকে জানায়। পরে এসআই সেপটিক ট্যাংকের ঢাকনা খুলে মনীষার লাশ দেখতে পান।
“মনীষার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধে অথবা সেপটিক ট্যাংকের মধ্যে ফেলে হত্যা করা হয়েছে।”
এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সোমবার রাতে মনীষার বাবা প্রদীপ সরকার বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি ছুরি ও একটি কাঁচি উদ্ধার করা হয়েছে।
মনীষার মা বীণা সরকার বলেন, “রোববার রাতে আমি ও আমার স্বামী একটি খাটে মনীষাকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম। অন্য খাটে আমার বড় মেয়ে পিয়াসা শুয়ে ছিল।
“রাত আনুমানিক ২টার দিকে ঘুম থেকে জেগে দেখি আমার ছোট মেয়ে নেই। আমাদের ঘরের পাটকাঠির বেড়া কেটে দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে মনীষাকে চুরি করে।”