টাঙ্গাইলে কোচ নারীর ওপর ভয়ঙ্কর বর্বরতা, গ্রেপ্তার ২

টাঙ্গাইলের সখিপুরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এক নারীকে ‘দলবেঁধে ধর্ষণসহ’ লোমহর্ষক বর্বরতার ঘটনায় করা মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

টাঙ্গাইল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 June 2021, 11:54 AM
Updated : 15 June 2021, 11:54 AM

মঙ্গলবার ভোরে মির্জাপুর ও নাগরপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় জানান।

গ্রেপ্তাররা হলেন সখিপুর উপজেলার বাজাইল গ্রামের প্রকাশ সরকারের ছেলে দীনা সরকার (৩৩) এবং একই এলাকার প্রয়াত নারায়ণ সরকারের ছেলে মন্টু সরকার (৩০)।

বৃহস্পতিবার রাতে সখিপুরের বাজাইল বড়চালা গ্রামের ওই ঘটনা স্থানীয় সাংবাদিকরা জানতে পারেন মঙ্গলবার। এখন ওই নারীকে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 

এ ঘটনায় রোববার ৪০ বছর বয়সী ওই নারী নিজে বাদী হয়ে সখিপুর থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

ওই নারী সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিন আসামি মাতাল অবস্থায় তার বাড়ি যায়। তারা তাকে ঘর থেকে বের করে পাশের একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে দীনা সরকার তার মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড় দেয়, নির্যাতন করে।

পরে তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে গেলে আসামিরা দৌড়ে পালিয়ে যায় বলে মামলায় অভিযোগ করেছেন ওই নারী। 

দুপুরে পুলিশ সুপার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “মামলাটি লোমহর্ষক ও চাঞ্চল্যকর হওয়ায় আমরা দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।”

মামলা হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মির্জাপুর ও নাগরপুর থেকে দুই আসামিকে ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, “একজন আসামি এখনও পলাতক রয়েছে; আমরা খুব দ্রুত তাকে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হব। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।” 

মামলাটি দ্রুত নিস্পত্তির জন্য শিগগিরই অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হবে বলে তিনি জানান। 

সখিপুর উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের বাজাইল বড়চালা গ্রামের এই কোচ নারীকে সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক রেহানা পারভীন সাংবাদিকদের বলেন, “তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার মুখমণ্ডল ও শরীরের বিভিন্ন অংশে কামড়ের ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। চারটি দাঁত ভেঙে ফেলা হয়েছে। তাছাড়া পায়ুপথ ও যৌনাঙ্গ ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। ফলে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় তার। প্রাথমিক পরীক্ষায় আমরা ধর্ষণের আলামত পেয়েছি।”