টাঙ্গাইলে কোচ নারীর ওপর ভয়ঙ্কর বর্বরতা

টাঙ্গাইলে ‘দলবেঁধে ধর্ষণ’ এবং ভয়ঙ্কর বর্বরতার শিকার এক কোচ নারীকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

টাঙ্গাইল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 June 2021, 10:07 AM
Updated : 15 June 2021, 10:07 AM

বৃহস্পতিবার রাতে সখিপুর উপজেলার বাজাইল বড়চালা গ্রামের ওই ঘটনা স্থানীয় সাংবাদিকরা জানতে পারেন মঙ্গলবার। এখন তাকে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, “সখিপুর থানার পুলিশকে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব অপরাধীদের ধরে আইনের আওতায় আনা হবে।”

টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম সজীব জানান, ৪০ বছর বয়সী এই নারীকে বৃহস্পতিবার রাতে প্রথমে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ভর্তি করা হয় টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে।

হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক রেহানা পারভীন সাংবাদিকদের বলেন, “তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার মুখমণ্ডল ও শরীরের বিভিন্ন অংশে কামড়ের ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। চারটি দাঁত ভেঙে ফেলা হয়েছে। তাছাড়া পায়ুপথ ও যৌনাঙ্গ ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। ফলে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় তার। প্রাথমিক পরীক্ষায় আমরা ধর্ষণের আলামত পেয়েছি।”

এ ঘটনায় রোববার ওই নারী নিজে বাদী হয়ে সখিপুর থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

আসামিরা হলেন ওই এলাকার টেংগু সরকারের ছেলে দীনা সরকার (৩৩), নারায়ণচন্দ্র সরকারের ছেলে মন্টু সরকার (৩০) ও ময়নাল মিয়ার ছেলে শবদুল মিয়া (২৮)।

ওই নারী সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিন আসামি মাতাল অবস্থায় তার বাড়িতে যায়। 

“তারা আমাকে ঘর থেকে বের করে পাশের একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে দীনা সরকার আমার মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড় দেয়, নির্যাতন করে।”

তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে গেলে আসামিরা দৌড়ে পালিয়ে যায় বলে মামলায় অভিযোগ করেছেন ওই নারী। 

ঘটনার বিচার দাবিতে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ কোচ আদিবাসী ইউনিয়ন মানববন্ধন করে। আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানায় সংগঠনটি।