মিঠাপুকুর থানার পরিদর্শক জাকির হোসেন জানান, সোনালী ব্যাংকের জায়গীরহাট শাখার পাশে ফজলুল উলুম সিনিয়র দাখিল মাদ্রাসার পরিত্যক্ত কক্ষে এই সুড়ঙ্গ দেখেছেন তারা।
সোমবার বিকালে স্থানীয় কিশোররা মাদ্রাসার মাঠে ফুটবল খেলতে গিয়ে সুড়ঙ্গটি প্রথম দেখতে পায়।
পরিদর্শক জাকির বলেন, খেলার সময় একপর্যায়ে বলটি সুড়ঙ্গের কাছে চলে যায়। বল আনতে গিয়ে এক কিশোর সুড়ঙ্গটি দেখতে পায়। সে তার বাবাকে বিষয়টি জানায়। তার বাবা স্থানীয়দের জানান। খবর পেয়ে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক সামিউল ইসলাম ও পুলিশ সুড়ঙ্গটি পরিদর্শন করেছে।
“সুড়ঙ্গটি ব্যাংকের দিকে গেছে। ব্যাংক পর্যন্ত যেতে পারলে হয়ত ডাকাতির ঘটনা ঘটত। আমরা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদান্ত করছি।”
ওই ব্যাংকের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
মাদ্রাসার সভাপতি এনামুল হক বলেন, মাদ্রাসাটি দেড় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। প্রধান ফটকও বন্ধ থাকে। মাদ্রাসার পূর্বপাশে একটি কক্ষ আছে। সেখানে কাঠসহ কিছু পুরনো জিনিস রয়েছে। সেই কক্ষে এই সুড়ঙ্গ খোঁড়া হয়েছে।
“আমরা ধারণা করছি যারা এটি করেছে তারা হয়ত ব্যাংক ডাকাতির উদ্দেশ্যে করেছে।”
জেলার পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটা নিঃসন্দেহে ব্যাংক ডাকাতির পরিকল্পনা ছিল, যা বলার অপেক্ষা রাখে না। এ বিষয়ে আমাদের পুলিশ বাহিনী কাজ করছে। এ ঘটনা যেই করুক না কেন, তাদের অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনা হবে।”