জয়পুরহাটে দুই শিক্ষক নেতার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

জয়পুরহাটের দুজন প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নেতার বিরুদ্ধে চাকরির প্রলোভনে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

জয়পুরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 June 2021, 05:53 PM
Updated : 14 June 2021, 05:53 PM

সোমবার দুপুরে জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনজন নারী এই অভিযোগ করেন।

এই দুই শিক্ষক নেতা হলেন ক্ষেতলাল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও জিয়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী শিক্ষক ওয়াদুদ ফাররোখ এবং পাঁচবিবি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও পাঁচবিবি ঢাকারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমানউল্লাহ।

অভিযোগকারী তিন নারী হলেন আক্কেলপুর উপজেলার কাশিড়া লক্ষ্মীভাটা গ্রামের মাহবুব আলমের স্ত্রী আলেয়া বেগম, এরশাদুল হকের স্ত্রী শারমিন আক্তার ও জয়পুরহাট সদরের জয়পার্বতীপুর দক্ষিণকান্দি গ্রামের প্রয়াত নূর মোহাম্মদের মেয়ে নুরুননাহার।

সংবাদ সম্মেলনে এদের পক্ষে শারমিন আক্তার লিখিত অভিযোগ পাঠ করেন।

ক্ষেতলাল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও জিয়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী শিক্ষক ওয়াদুদ ফাররোখ

অভিযোগে বলা হয়, ওয়াদুদ ফাররোখ ও আমানউল্লাহ ২০১৭ সালে শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরির প্রলোভন দিয়ে এই তিন নারীর প্রত্যেকের কাছে ৬ লাখ টাকা দাবি করেন।

এই টাকার মধ্যে তারা অগ্রিম হিসেবে ব্যাংকের চেকের মাধ্যমে সাড়ে ৫ লাখ টাকা গ্রহণ করেছেন বলে লিখিত অভিযেগে বলেন শারমিন।

তিনি আরও বলেন, এর মধ্যে ওয়াদুদ ফাররোখ দেড় লাখ টাকা নেন শারমিনের কাছ থেকে, আড়াই লাখ টাকা নেন নুরুননাহারের কাছ থেকে এবং আমানউল্লাহ দেড় লাখ টাকা নেন আলেয়া বেগমের কাছ থেকে।

পাঁচবিবি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও পাঁচবিবি ঢাকারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমানউল্লাহ

লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়, সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা নেওয়ার পর ফাররোখ ও আমানউল্লাহ আক্কেলপুর মুজিবুর রহমান কলেজের পেছনে একটি শিশু কল্যাণ স্কুল চালু করেন।

শারমিন বলেন, দেড় বছর স্কুল চলাকালে তারা নিজেরাই প্রতিমাসে ছয় হাজার টাকা ভাড়া দিয়েছেন। চাকরি দিব-দিচ্ছি বলে তালবাহানা করেন এবং তাদের অর্থ না দিয়ে নানারকম হুকমি দেন ফাররোখ ও আমানউল্লাহ।

প্রতারণার বিষয়টা আন্দাজ করতে পেরে তারা গত ৩১ মে জয়পুরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এতে কোনো প্রতিকার পাননি তারা।

এই ব্যাপারে ওয়াদুদ ফাররোখ ও আমানউল্লাহ অভিযোগের বিষয়ে বলেন, “সে অনেক কথা; একদিন আসেন; সব বলব। মোবাইলে এত কথা বলে বোঝানো সম্ভব না।”