মাদারীপুরের সেই ভ্যানচালক হত্যায় ‘দুই লাখ টাকার চুক্তি’

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই লাখ টাকার বিনিময়ে মাদারীপুরের ভ্যানচালক মোতাহার দর্জিকে হত্যায় আসামিরা রাজি হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মাদারীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 June 2021, 12:22 PM
Updated : 14 June 2021, 12:22 PM

সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে গ্রেপ্তার চার আসামির কাছে এসব তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন।

নিহত ভ্যানচালক মোতাহার দর্জি (৫০) মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার মজুমদারকান্দি গ্রামের কালু দর্জির ছেলে। গত ২৩ মে তাকে কুপিয়ে হত্যার পর এক পাটক্ষেতে লাশ ফেলে রাখে দুর্বৃত্তরা।

এ হত্যাকাণ্ডের পর ২৫ মে নিহতের স্ত্রী সামলা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন।

এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাব্বির শেখ ‘তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্তের’ পর চারজন গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন, মজুমদারকান্দি গ্রামের নেছার উদ্দিন মোল্লার ছেলে মো. ইলিয়াস মোল্লা (৪৮),

রোকন মোল্লার ছেলে আনোয়ার মোল্লা (৪০), মো. জেলেম মোল্লার ছেলে মহিদুল মোল্লা (৪৮) এবং বাসাবাড়ী গ্রামের আক্কাস ফরাজীর ছেলে এমরত ফরাজী (৫০)।

পুলিশ সুপার বলেন, “নিহত মোতাহার দর্জির সাথে আসামি এমারত ফরাজীর দীর্ঘদিন ধরে জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। তারই ধারাবাহিকতায় এমারত মোতাহার দর্জিকে হত্যার জন্য অন্য আসামিদের সাথে দুই লাখ টাকার চুক্তি করেন।”

এ হত্যাকাণ্ডে সাতজন অংশ নেন। যার মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

হত্যাকাণ্ডের বিবরণ দিতে গিয়ে পুলিশ সুপার জনান, গত ২৩ মে মোতাহার দর্জি তার বাড়ির পাশের মসজিদে নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় আসামিরা তাকে পেছন থেকে মাথায় আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। তখন অন্য আসামিরা শরীরে আঘাত এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার লাশ এক পাটক্ষেতে ফেলে রাখেন।

তদন্তকর্মকর্তা সাব্বির শেখ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যাকাণ্ডে ‘সরাসরি জড়িত’ ইলিয়াস মোল্লাকে প্রথমে গ্রেপ্তার করেন। ইলিয়াস আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।

তার দেওয়া তথ্যে ৯ জুন রাতে পুলিশ একই গ্রাম থেকে আনোয়ার মোল্লা, মহিদুল মোল্লা এবং এমরত ফরাজীকে গ্রেপ্তার করে পর দিন আদালতে পাঠানো হয় বলেন তিনি।

এ সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডিএসবি চাই লাউ মারমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর হেড কোয়ার্টার মনিরুজ্জামান ফকির, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এহ্সানুর রহমান ভূইয়া, রাজৈর থানার ওসি শেখ সাদী, মাদারীপুর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আল মামুন, টিআই শাহ আলম মৃধা এবং মামলার তদন্তকর্মকর্তা এসআই সাব্বির শেখ।