‘হল বন্ধ রেখেই’ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা গ্রহণ শুরু

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আবাসিক ‘হল বন্ধ রেখেই’ স্থগিত পরীক্ষাগুলো নেওয়া শুরু হয়েছে।

কুমিল্লা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 June 2021, 01:38 PM
Updated : 13 June 2021, 01:38 PM

রোববার সকাল ১০টা থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি বিভাগের এসব পরীক্ষা শুরু হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ড. আবু তাহের জানান, যথারীতি স্বাস্থবিধি মেনে সেই সাথে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।

তবে হল না খোলার প্রসঙ্গে রেজিস্টার বলেন, “শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় করোনার কারণে আমরা সব হল বন্ধ রেখেছি। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পেলে আবার আমরা সকল হল খুলে দেব।”

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক এক সভায় সব পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত হয়।

পরে ৩০ মে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা।

এ প্রসঙ্গ টেনে রেজিস্টার ড. আবু তাহের বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জাতীয় পর্যায়ের মিটিংয়ে বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়। ওই সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো তুলে ধরেন।

ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্তের আলোকে গত ৩ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভা থেকে পুনরায় ১৩ জুন থেকে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যায় প্রশাসন।

নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আইনুল হক জানান, আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত সব বিভাগের স্থগিত পরীক্ষাগুলো সম্পন্ন করা হবে।

যে সব পরীক্ষা হচ্ছে, লোকপ্রশাসন বিভাগের একটি সেমিস্টার, আইসিটি বিভাগের দুইটি ,মার্কেটিং বিভাগের একটি, পরিসংখ্যান বিভাগের দুইটি, অ্যাকাউন্টটিং বিভাগের দুইটি, ব্যবস্থাপনা বিভাগের একটি, আইন বিভাগের একটি এবং ফার্মেসি বিভাগের একটি পরীক্ষাসহ বিভিন্ন বিভাগের মিডটার্ম পরীক্ষা।

এদিকে, হল বন্ধ থাকার প্রসঙ্গে আইনসিটি বিভাগের ১২৩ম ব্যাচের শিক্ষার্থী আফসার বলেন, হল বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের অসুবিধা হচ্ছে। আমরা চাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে হলগুলো খুলে দেওয়া হোক।

আরেক শিক্ষার্থী তানভীর বলেন, “দেশের সবকিছুই স্বাভাবিক চলছে, সেখানে আমাদের হলগুলো বন্ধ রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই।

পরীক্ষার্থী সাইরিন অপ্সরা বলেন, অন্তত মেয়েদের হলগুলো খুলে দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হোক।

তবে কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে `অঘোষিতভাবে হল খোলা রয়েছে’, সেখানে অনেকেই থাকছেন।