শনিবার শনাক্তের সংখ্যা কমলেও আগের দিনের তুলনায় বেড়ে গেছে মৃতের সংখ্যা।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ দপ্তরের সহকারী পরিচালক ফেরদৌসী আক্তার বলেন, “টানা চারদিন ৫০০ এর ওপর শনাক্ত ছিল। এখন শনাক্ত কিছুটা কমেছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি হবে।”
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক রাশেদা সুলতান জানান, শনিবার সকাল ৮টার আগের ২৪ ঘণ্টায় খুলনা বিভাগে ৩১৯ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে এবং এতে মারা গেছেন ১০ জন। এছাড়া ১১০ জন সুস্থ হয়েছেন।
এর আগের দিন ৫৯৯ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় এবং মারা যান ছয়জন বলেন তিনি।
রাশেদা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে এক হাজার ৪১ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এর আগের দিনের বিভাগের সব জেলা মিলিয়ে শনাক্তের হার ছিল ৩৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
এর মধ্যে সাতক্ষীরায় সর্বোচ্চ শনাক্তের হার ৩৬ দশমিক ১৭ এবং মাগুরায় সর্বনিম্ন হার ছিল ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
এছাড়া খুলনা জেলায় ৩৩৩ নমুনার মধ্যে ১১৬টিতে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার এ জেলায় ৩৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় যেখানে শনাক্তের হার ছিল ৩৫ দশমিক ৭ শতাংশ।
তবে এ সময়ে তার আগের দিনের চেয়ে ৭৪৯টি নমুনা কম পরীক্ষা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ বিভাগের ১০ জেলায় এ পর্যন্ত এতে সংক্রমিত হয়েছেন মোট ৩৯ হাজার ৮ জন।যাদের মধ্যে ৩২ হাজার ৮৪৬ জন সুস্থ হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৭১১ জন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাসংক্রান্ত দৈনিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি মাসের প্রথম ১২ দিনে ৪ হাজার ৭১৭ জন শনাক্ত হয়। এ সময়ে মারা যান ৬৬ জন। এর আগে ২০ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ১ হাজার ৭২৪ জন শনাক্ত হয়েছিল। ওই ১২ দিনে মারা যান ৪৬ জন।