শনিবার দুপুর ১২টা থেকে কাঁঠালবাড়ী বাজার এলাকায় কুড়িগ্রাম-রংপুর সড়কে ঘণ্টাব্যাপী অবরোধের সময় জেলার সাথে অন্যজেলার সব ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
এছাড়া ‘হিমাগারে আলু রাখাও বন্ধ রেখেছেন’ তারা।
অবরোধকালে কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল হক ব্যাপারী, আলু চাষি আইয়ুব আলী, মোস্তফা কামাল, আকবর আলী ও দুলাল ব্যাপারী মানববন্ধনে বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, অতিরিক্ত আট কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে জেলার চারটি হিমাগারের মালিকরা একাট্টা হয়েছে।
এর ব্যাখ্যায় তারা বলছেন, এ চারটি হিমাগারের ধারণ ক্ষমতা সোয়া সাত লাখ বস্তা আলু। বস্তা প্রতি ১১০ টাকা ভাড়া বাড়লে মোট সাত কোটি ৯৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা আয় হবে হিমাগার মালিকাদের।
এই সংরক্ষণ ভাড়া বৃদ্ধিকে ‘অন্যায় এবং বেআইনি’ উল্লেখ করে তারা জানান, ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে আলুচাষি ও ব্যবসায়ীরা বর্তমানে হিমাগার থেকে আলু রাখছেন না।
কুড়িগ্রামের চার হিমাগারের মধ্যে রয়েছে, এ হক হিমাগার লি., সেকেন্দার কোল্ড স্টোরেজ, বাবর কোল্ড স্টোরেজ লি. এবং মোস্তফা কোল্ড স্টোরেজ লি.। এসব হিমাগারের মালিকরা যৌথ এ মৌসুমে ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেন।
“প্রতিটি হিমাগার অতিরিক্ত দুই কোটি টাকা আয় করার উদ্দেশ্যে এ ভাড়া বৃদ্ধি করেছে।”
আলু ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল জানান, মহামারীর কারণে বিদেশে আলু রপ্তানি বন্ধ থাকায় আলুর চাহিদা কমে গেছে। এ সময়ে ভাড়া বৃদ্ধি করলে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের লোকসানে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আলুচাষি আকবর আলী বলছেন, কী কারণে মালিকরা ভাড়া বাড়িয়েছেন, তার কোনো সদুত্তোর মিলছে না।
তবে কুড়িগ্রাম কোল্ড স্টোরেজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বলছেন, বিদ্যুৎ ও নানা খাতে খরচ বেড়ে যাওয়ায় তারা ভাড়া বাড়িয়েছেন।
তবে চাষিরা জোরালো আন্দোলনে নেমেছেন তার আভাস মিলল হিমাগারের ব্যবস্থপকদের কাছে।
কুড়িগ্রাম এ হক হিমাগারের ব্যবস্থাপক আব্দুল মোমিন বলেন, ছয় দিন আগে আলু উত্তোলনের জন্য হিমাগার খুলে দেওয়া হলেও কেউ আলু উত্তোলন করছেন না।
সেকেন্দার স্টোরেজের সহকারী ব্যবস্থাপক ইসাহাক আলী জানান, নতুন ভাড়া নির্ধারণের পর কেউ হিমাগারে আলু উত্তোলন করেনি।
এদিকে, আলু চাষিরা মানববন্ধনে হুঁশিয়ার করেছেন, তাদের দাবি না মানলে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা দেবেন তারা।