কোভিড: রাজশাহী মেডিকেলে আরও ৪ জনের মৃত্যু

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 June 2021, 09:03 AM
Updated : 12 June 2021, 09:07 AM

শনিবার বেলা ১১টায় হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার শামীম ইয়াজদানী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, মৃত চারজনের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন রোগী করোনাভাইরাসপজিটিভ ছিলেন। বাকিদের উপসর্গ ছিল। তাদের বাড়ি রাজশাহী।

এ নিয়ে গত ১২ দিনে (১ জুন সকাল ৬টা থেকে ১২ জুন সকাল ৬টা পর্যন্ত) রাজশাহী হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১১২ জন মারা গেল। এর মধ্যে ৬৪ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল; বাকিদের উপসর্গ ছিল।

পরিচালক বলেন, “গত ২৪ ঘণ্টায় তাদের হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ২৫ জন। ছুটি নিয়েছেন ৩৩ জন। ২৭১ বেডের বিপরীতে রোগী ভর্তি আছেন ২৮৯ জন। অতিরিক্ত রোগীদের বিকল্পভাবে বেড বাড়িয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে রাজশাহীর ১৪ জন, চাঁপাইয়ের ৮ জন, নাটোরের ২ জন ও পাবনার একজন রয়েছেন। ভর্তি ২৮৯ জনের মধ্যে রাজশাহীর ১২২, চাঁপাইয়ের ১২০, নাটোরের ১৪, নওগাঁর ২৪, পাবনার ৫ ও কুষ্টিয়ার একজন। আর হাসপাতালের আইসিইউতে আছেন ১৮ জন।”

২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার বেড়েছে

এদিকে রাজশাহীতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার কিছুটা বেড়েছে বলে জানিয়ে শামীম ইয়াজদানী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার রাতে) রাজশাহীর দুটি পিসিআর ল্যাবে ৩৬৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে শনাক্ত হয়েছে ১৪৩ জনের।

“শনাক্তের হার ৩৯ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ “

এর আগের দিন বৃহস্পতিবার রাজশাহীর দুই ল্যাবে রাজশাহীর ৩৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৪৩ জনের পজেটিভি আসে। সেদিন শনাক্তের হার ছিল ৩৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ। অর্থাৎ শনাক্তের হার কিছুটা বেড়েছে।

লকডাউন চলছে, ফাঁকা রাস্তাঘাট

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে রাজশাহীতে সাতদিনের ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ দ্বিতীয় দিন চলেছে। শুক্রবার বিকাল থেকে এই লকডাউন শুরু হয়। চলবে আগামী ১৭ জুন মধ্য রাত পর্যন্ত। 

লকডাউনের দ্বিতীয়দিন সকাল থেকেই রাজশাহী নগরীর রাস্তাঘাট ফাঁকা ছিল; দোকানপাটও বন্ধ ছিল। নগরের ভেতরে কিছু অটোরিকশা চলতে দেখা গেছে। অনেক লোকজনকে গাড়ি না পেয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র মো. গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, “রাজশাহী মহানগরের সবকয়টি প্রবেশমুখে পুলিশ শক্তভাবে অবস্থান নিয়েছে। এ ছাড়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পুলিশ টহল রয়েছে। বিনা কারণে কাউকেই শহরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না

তবে জরুরি সেবা পরিবহন ও ওষুধের দোকানপাট খোলা রয়েছে।