হাতিয়ায় ইউপি সদস্য হত্যা: মামলায় চেয়ারম্যান, গ্রেপ্তার ২

নোয়াখালীর হাতিয়ার চর ঈশ্বর ইউপি সদস্য রবীন্দ্র চন্দ্র দাস হত্যায় ওই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ ৪৪ জনের নামে মামলা হয়েছে। দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নোয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 June 2021, 12:12 PM
Updated : 11 June 2021, 12:12 PM

হাতিয়া থানার ওসি আবুল খায়ের জানান, শুক্রবার দুপুরে নিহতের ছেলে বিটেল চন্দ্র দাস বাদী হয়ে থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে একদল হামলাকারী চর ঈশ্বর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য রবীন্দ্র চন্দ্র দাসকে (৪২) কুপিয়ে হত্যা করে।

মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে চর ঈশ্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আশ্রাফুল হক সোহেলকে (২৮)। এছাড়া সোহেলের চাচা বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুল হালিম আজাদকেও আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে ৪৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

ওসি আবুল খায়ের জানান, এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ চর ঈশ্বর ইউনিয়নের মৃত নরত্তোম দাসের ছেলে সুমন চন্দ্র দাস (৪০) ও গামছাখালি গ্রামের আনাজল হকের ছেলে আমজাদকে (৩৪) গ্রেপ্তার করেছে।

এদিকে চর ঈশ্বর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল হালিম বলেন, “আমি গত দুইদিন থেকে ঢাকায় অবস্থান করছি। এই ঘটনায় আমি বা আমার কোনো লোক জড়িত না হওয়া সত্বেও সামনে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে আমাকে, আমার পরিবারের সদস্য ও আমার লোকজনকে আসামি করতে বাদীকে প্রভাবিত করেছে। আমি ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি।”

মামলায় অভিযোগ করা হয়, বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ২টার দিকে বাংলা বাজার থেকে তিনটি মোটরসাইকেলযোগে রবীন্দ্র চন্দ্র দাসসহ সাতজন এক সঙ্গে উপজেলা সদর ওছখালীল বাসায় ফিরছিলেন।

পথে খাসেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে একদল লোক তাদের গতিরোধ করে। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে সড়কের ওপর ফেলে রেখে চলে যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি মারা যান।

নিহত রবীন্দ্র চন্দ্র দাস যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের শরীরচর্চা বিভাগের শিক্ষক আশরাফ উদ্দিন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ হাতিয়ার আফাজিয়া বাজারে গুলিতে আহত হন আশরাফ উদ্দিন। দশ দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তারের পর কয়েক মাস হাজতবাস করে জামিন পান রবীন্দ্র।

নিহত যুবলীগ নেতা আশরাফ উদ্দিনের এক ভাই হাতিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহম্মেদ। আরেক ভাই আলাউদ্দিন আহম্মেদ আজাদ চর ঈশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং এবারে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী।