বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেই যুবকের মৃত্যুর পর দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এলাকাবাসী নয়নের লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করে ঘটনার সাথে জড়িত ‘ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ফাঁসি দাবি করেন’।
নিহত নয়ন মিজি (৩৩) রামপাল ইউনিয়নের উত্তর কাজী কসবা এলাকার বাতেন মিজির ছেলে।
এ হত্যাকাণ্ডে রামপাল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত শেখসহ নয়জনকে আসামি করে মামলা করেছেন নিহতের মা রাশিদা বেগম।
অন্য আসামিরা হলেন, চঞ্চল, শোভন তালুকদার, রনি, কাঞ্চন, তৌকির তালুকদার, নাহিদ ভূইয়া, আল আমিন এবং অমিম।
মুন্সীগঞ্জের সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিনহাজ আবেদিন বলেন, “এ ঘটনায় প্রথমে মারামারির অভিযোগ এবং এখন হত্যা মামলা হয়েছে।
“এজহারনামীয় নয় আসামির মধ্যে দুইজনকে ধরতে আমার সক্ষম হয়েছি। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”
নয়নের মৃত্যুর পর গ্রেপ্তাররা হলেন তৌকির তাদুকদার (২৫) স্থানীয় সিপাহীপাড়ার রহমান তালুকদারের ছেলে এবং নাহিদ (১৯) স্থানীয় শাখারি বাজার এলাকার নাসির ভূইয়ার ছেলে।
ওই ঘটনার জেরে গত বুধবার বিকালে কাজী কসবা এলাকার এক পেপার মিলের সামনে নয়নকে পেয়ে ছা রড ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করতে থাকে ত্রলীগের প্রান্ত শেখ, শোভন, চঞ্চল, রনি, কাঞ্চনসহ সাত থেকে আটজন।
খবর পেয়ে নয়নের স্ত্রীসহ তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এ সময় তাদের সামনেই চাপাতি দিয়ে নয়নকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন ওই তরুণরা। এ সময় নয়নকে বাঁচাতে চিৎকার করলে তার স্ত্রীকেও মারধর করে প্রান্ত-শোভনরা।
পরে মারধরকারীরা নয়নকে মোটরসাইকেলে বেঁধে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে রাস্তার অদূরে ফেলে যায়। সেখান থেকে নয়নকে উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে রাতেই জাতীয় অর্থোপেডিক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নয়নকে বলে জানান তিনি।