বৃহস্পতিবার বিকালে গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের মধুবন আদর্শ (গুচ্ছ গ্রাম) গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন, ফাতেমা বেগম (৪২) মধুবন আদর্শ গ্রামের আব্দুল বারেকের স্ত্রী এবং ফাতেমার ছেলে মো. হিমেল (২৫)।
নির্যাতনের শিকার রিফাত ওই গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় রামগোপালপুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।
গৌরীপুর থানার ওসি আব্দুল হালিম সিদ্দিকী বলেন, মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে নয় বছর বয়সী শিশু রিফাতকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ভিডিও ফেইসবুকে ভাইরাল হওয়ার পরপরই তাদের আটক করা হয়েছে।
তিনি জানান, গত ৪ জুন দুপুরে মধুবন আদর্শ গ্রামের এ নির্যতানের ভিডিওটি ফেইসবুকে শেয়ার দিলে ঘটনাটি জানাজানি হয়।
নির্যাতনের শিকার রিফাতের বাবা সুরুজ মিয়া বলেন, “গত মাসের শেষের সপ্তাহে আটক ফাতেমা বেগমের ভাইয়ের স্ত্রী রিফাতকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গাছ থেকে আম পেড়ে দিতে বলে।
“রিফাত আম পাড়ার জন্য গাছে উঠলে আটক ফাতেমা ও হিমেল তাকে গাছ থেকে পিটিয়ে নামায়। এরপর থেকে রিফাত সপ্তাহখানেক জ্বরে ভোগে।
তিনি আরও বলেন, “আমি বাড়িতে না থাকায় গত ৪ জুন হিমেল রিফাতকে বাড়ি থেকে নিয়ে গাছের সাথে গরুর রশি দিয়ে বেঁধে মারধর করে।
“পরে আমি বাড়ি ফিরে তাদের বাড়ি থেকে রশি খুলে রিফাতকে বাড়িতে নিয়ে আসি।”
বিষয়টি গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে বিচারের আশ্বাস দেন তারা বলেন তিনি।