নাটোরে সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী, এক সপ্তাহের লকডাউন

করোনাভাইরাস শনাক্তের হার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় নাটোর ও সিংড়া পৌরশহরে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন।

নাটোর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 June 2021, 12:41 PM
Updated : 8 June 2021, 12:41 PM

বুধবার সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী সাত দিন নাটোর শহর ও সিংড়া পৌরশহরে কঠোর বিধিনিষেধ থাকবে বলে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে।  

সোমবার গভীর রাতে জেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির জরুরি সভায় বিধিনিষেধ আরোপের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

মঙ্গলবার বেলা ৩টা থেকে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট এলাকায় প্রচার শুরু হয়েছে।

নাটোর জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ জানান, করোনা সংক্রমণ ক্রমেই বৃদ্ধি পাওয়ায় সোমবার রাত ১১টায় জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি জরুরি সভায় মিলিত হয়। সভায় আলোচনা শেষে বুধবার সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী সাত দিন নাটোর ও সিংড়া পৌরশহরে কঠোর লকডাউন আরোপ করার সিদ্ধান্ত হয়।

সিংড়া পৌর শহরে লকডাউন শুরু হবে বুধবার। তবে মঙ্গলবার থেকেই প্রশাসন কিছু কিছু রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। পেট্রোবাংলা সড়কের ছবি।

শহরবাসীকে ঘরে থাকার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, মহাসড়ক ছাড়া শহরের সব রাস্তায় সব ধরনের পরিবহন বন্ধ রাখা হবে। তবে জরুরি সেবা ও পণ্যবাহী পরিবহন চলতে পারবে। নির্ধারিত জরুরি কাজে কেউ বের হতে চাইলে তাকে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে। 

মঙ্গলবার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ৬৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে; যা শতকরা হারে হয় ৬২ দশমিক ৬ ভাগ। এর আগে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ৫২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়, শতকরা হারে যা ৬৭ দশমিক ৩০ শতাংশ। রোববার এই হার ছিল ৫১ শতাংশ।

নাটোর জেলায় মোট আক্রান্ত রোগী ১ হাজার ৯৪০ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৫০১ জন। মৃত্যু হয়েছে ২৮ জনের। আক্রান্ত লোকজনের মধ্যে সদর হাসপাতালে ৩১ শয্যার বিপরীতে ভর্তি আছেন ৩৩ জন এবং হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ৩৪৫ জন।

সোমবারের ভার্চুয়াল সভায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী ও নাটোর-৩ আসনের সাংসদ জুনাইদ আহমেদসহ অন্যান্য সাংসদগণ, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জনসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ ও সাংবাদিকরা যুক্ত ছিলেন।

অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের অধিকাংশই এলাকাভিত্তিক লকডাউনের সুপারিশ করেন।

সভায় জুনাইদ আহমেদ বলেন, “করোনার ডেল্টা ভেরিয়েন্ট [ভারতে প্রথম শনাক্ত] সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর পাশাপাশি আমাদের এ অঞ্চলেও কমিউনিটি ট্রান্সমিশন করছে। ফলে মানুষের জীবন বাঁচাতে আমাদের কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। এজন্য কঠোর লকডাউন আরোপ করা হলো।”