সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নেরর আন্ধারিয়া সুতিরপাড়ে দুই একর জমির ওপর নির্মিত এই ৪০টি ঘর ও জমির দলিল সোমবার তাদের হাতে তুলে দেন শেরপুর জেলা প্রশাসক আনারকলি মাহবুব।
এই ৪০ ঘরের প্রত্যেকটিতে রয়েছে একটি করে বসতঘর, রান্নাঘর ও শৌচাগার।
জেলা প্রশাসন জানায়, এখানে হিজরাদের থাকার জন্য আবাসনের পাশাপাশি উপার্জনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। মাছ চাষের জন্য তাদের ৪০ শতাংশ আয়তনের একটি পুকুর, ৬০ শতাংশ জমিতে সবজিচাষ ও হাঁসমুরগি পালনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের ছয় মাসের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীসহ প্রত্যেক বসতঘরে চৌকি বিছানাসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রও দেওয়া হয়েছে। বিনোদনের জন্য একটি মিলনায়তনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক সবাইকে হিজরাদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করার আহবান জানান।
তিনি হিজারা ও স্থানীয়দের উদ্দেশে বলেন, “এখন থেকে হিজরারা কোনো মানুষের বিরক্তির কারণ হতে পারবে না এবং হিজারাদেরও বিরক্ত করা যাবে না। করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়াও হবে।”
তিনি বলেন, কেবল জমিসহ ঘরই নয়, “ওই গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পে সমাজের অবহেলিত ও অপাঙক্তেয় তৃতীয় লিঙ্গ জনগোষ্ঠীর জীবনমান এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণও প্রদান করা হবে যাতে তারাও সমাজের মূল স্রোতে একীভূত হতে পারেন।”