শেরপুরে ৪০ জন হিজরা পেল বসতঘর

সরকারের গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের আওতায় শেরপুরে ৪০ জন হিজরাকে বসতঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।

শেরপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 June 2021, 01:45 PM
Updated : 7 June 2021, 02:04 PM

সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নেরর আন্ধারিয়া সুতিরপাড়ে দুই একর জমির ওপর নির্মিত এই ৪০টি ঘর ও জমির দলিল সোমবার তাদের হাতে তুলে দেন শেরপুর জেলা প্রশাসক আনারকলি মাহবুব।

এই ৪০ ঘরের প্রত্যেকটিতে রয়েছে একটি করে বসতঘর, রান্নাঘর ও শৌচাগার।

জেলা প্রশাসন জানায়, এখানে হিজরাদের থাকার জন্য আবাসনের পাশাপাশি উপার্জনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। মাছ চাষের জন্য তাদের ৪০ শতাংশ আয়তনের একটি পুকুর, ৬০ শতাংশ জমিতে সবজিচাষ ও হাঁসমুরগি পালনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের ছয় মাসের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীসহ প্রত্যেক বসতঘরে চৌকি বিছানাসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রও দেওয়া হয়েছে। বিনোদনের জন্য একটি মিলনায়তনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব বলেন, “সমাজে সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে বাঁচার অধিকার তৃতীয় লিঙ্গের এই মানুষগুলোরও আছে। তারা আমাদেরই স্বজন। প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে আন্তরিক হয়ে আমাদের কাজ করতে নির্দেশনা দিয়েছেন। তাদের বাসস্থানের পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টির চেষ্টাও আমরা করছি। আশা করি, তাদের সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করতে পারব।”

জেলা প্রশাসক সবাইকে হিজরাদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করার আহবান জানান।

তিনি হিজারা ও স্থানীয়দের উদ্দেশে বলেন, “এখন থেকে হিজরারা কোনো মানুষের বিরক্তির কারণ হতে পারবে না এবং হিজারাদেরও বিরক্ত করা যাবে না। করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়াও হবে।”

শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজ আল মামুন বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সহায়তায় ও জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনায় আমরা এই কাজটি শেষ করতে পেরে আনন্দিত।”

তিনি বলেন, কেবল জমিসহ ঘরই নয়, “ওই গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পে সমাজের অবহেলিত ও অপাঙক্তেয় তৃতীয় লিঙ্গ জনগোষ্ঠীর জীবনমান এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণও প্রদান করা হবে যাতে তারাও সমাজের মূল স্রোতে একীভূত হতে পারেন।”