গত ২৪ ঘণ্টায় বাগেরহাট জেলায় করোনাভাইরাস পজেটিভ হয়েছেন ৫৭ জন; এরমধ্যে ৩৪ জনই মোংলার। শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলাতেও সংক্রমণের হার বাড়তে শুরু করেছে।
এদিকে শনিবার রাতে মোংলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে বাগেরহাট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. সুব্রত দাস জানান।
মৃত জুলফিকার আলীর বাড়ি উপজেলার গোয়ালের মেথ এলাকায়। তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।
সুব্রত বলেন, বাগেরহাটে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৭ জনের করোনাভাইরাস পজেটিভ হয়। এ নিয়ে জেলায় করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ৬৯২ জনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হল। এছাড়া গত তিন মাসের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের।
গত ২৪ ঘন্টায় জেলার পাঁচ উপজেলার ১৫৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষায় করা হয়। তাতে ৫৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় আক্রান্তের হার ৩৭ ভাগ।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে মোংলায় ৩৪ জন। এরপরে রয়েছে মোরেলগঞ্জে ৯ জন, ফকিরহাটে ৮ জন, বাগেরহাট সদরে ৪ জন এবং মোল্লাহাটে ২ জন।
ডা. সুব্রত দাস জানান, মোংলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ জনের পরীক্ষায় শনাক্ত ৩৪ জন; শনাক্তের হার ৭০.৮৩ শতাংশ।
বাগেরহাট জেলার কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে বর্তমানে ১২ জন ভর্তি রয়েছে বলে জানান এ চিকিৎসক।
সিভিল সার্জন হুমায়ুন কবির বলেন, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর গত ৮ মার্চ থেকে জেলায় ৬৯২ জনের এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে; আর মারা গেছে ২০ জন। যা প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় বেশি।
“করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসার জন্য বাগেরহাট সদরে ৫০ শয্যার একটি করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল রয়েছে। প্রতিটি বেডে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা আছে। হাসপাতালে অক্সিজেন ট্যাঙ্ক স্থাপন করা করা হয়েছে। রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহে কোন ঘাটতি থাকবে না।”
তিনি বলেন, শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলাতে সংক্রমণের হার ঠেকাতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এসব এলাকার অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করার জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত ও চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
জেলাজুড়ে যাতে যাতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিস্তার লাভ না করতে পারে সেজন্য প্রশাসন সতর্ক রয়েছে।