শনিবার দুপুরে শরীয়তপুরের জাজিরায় দুইজনের, মাদারীপুরের শিবচরে এক কৃষকের এবং সকালে ঢাকার ধামরাইয়ে অপর কৃষকের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন, শরিয়তপুরের মূলনা ইউনিয়নের জয়সাগর গ্রামের ফেলু খলিফার ছেলে তাইজুল ইসলাম খলিফা (৬২), পালেরচর ইউনিয়নের ডা. মফিজুল ইসলাম রাড়ী কান্দি গ্রামের হুজুর পেয়াদার ছেলে আব্দুল মালেক পেয়াদা (৪০), মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার সন্ন্যাসিরচর ইউনিয়নের পশ্চিম সন্ন্যাসীরচর গ্রামের সোলেম বেপারীর ছেলে ইব্রাহিম বেপারী (৫০) এবং ঢাকার ধামরাই উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের বড় কুশুরিয়া এলাকার বাবু ব্যাপারীর ছেলে আব্দুল খালেক (৪৫)।
জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. হাবিবুর রহমান জানান, শনিবার বেলা দেড়টার দিকে বজ্রপাতে জয়সাগর গ্রামের তাইজুল ইসলাম খলিফা এবং রাড়ী কান্দি গ্রামে আব্দুল মালেক পেয়াদা বজ্রপাতের শিকার হন। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তাইজুল ইসলাম খলিফা রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় এবং মালেক পেয়াদা জমিতে কাজ করার সময় বজ্রপাতের শিকার হন বলে জাজিরা থানার ওসি মাহাবুবুর রহমান জানিয়েছেন।
এদিকে, মাদারিপুরের শিবচর থানার ওসি মিরাজ হোসেন জানান, দুপুর দেড়টার দিকে এ বজ্রপাতে নিহত ইব্রাহিম বেপারীর ভাই হুমায়ুন বেপারী (৬০) আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানায়, নিহত ইব্রাহিম তার জমিতে বাদাম চাষ করেন। কয়েক দিন ধরে ক্ষেত থেকে সেই বাদাম তুলে বাড়ির সামনে একটি জায়গায় শুকাতে দিচ্ছেন।
বুধবার দুপুরে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়। শুকাতে দেওয়া বাদাম নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন ইব্রাহিম ও তার ভাই হুমায়ুন।।এ সময় হঠাৎ এক বজ্রপাতে তারা আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়ার পথে ইব্রাহিম মারা যান।
অন্যদিক, ঢাকার ধামরাইয়ে ধানের খড় মাথায় করে নিয়ে যাওয়ার সময় বজ্রপাতে মারা যান আব্দুল খালেক (৪৫)।
শনিবার বিকালে কুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কালীপদ সরকার জানান, সকালে বৃষ্টি দেখে জমি থেকে ধানের খড় মাথায় নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন খালেক। তখন প্রচণ্ড বজ্রপাতসহ বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় বজ্রপাতে তিনি মারা যান। পরে মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে স্বজনরা।
এক সন্তানের জনক এ নিহতের বজ্রপাতে মৃত্যুর কথা ধামরাই থানা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান চেয়ারম্যান।