বর্ষার আগেই যমুনায় ভাঙন

বর্ষা শুরুর আগেই সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের যমুনা তীরের পাঁচটি ইউনিয়নের ১৩টি গ্রামে ভাঙন শুরু হয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে এসব গ্রামের শত শত বাড়িঘর-ফসলি জমি।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 June 2021, 10:30 AM
Updated : 5 June 2021, 11:23 AM

গ্রামগুলোর হচ্ছে- খুকনি ইউনিয়নের আরকান্দি, জালালপুর ইউনিয়নের জালালপুর, ঘাটাবাড়ি ও পাকুরতলা, কৈজুরি ইউনিয়নের হাটপাচিল, সোনাতনী ইউনিয়নের পশ্চিম বানতিয়ার, ছোট চানতারা, বড় চানতারা, ধীতপুর, দইকান্দি ও বানিয়া সিঙ্গুলী ও গালা ইউনিয়নের আগবাঙ্গলা ও ধলাই। 

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসন বলছে, গত কয়েক দিনের যমুনা, করতোয়া, বড়াল ও হুরাসাগর নদীর পানি বাড়তে থাকায় নদীতীরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে ১৫টি বসতবাড়ি, ৩০ বিঘা ফসলি জমি ও অর্ধশত গাছপালা যমুনা নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এ ছাড়া অসংখ্য বাড়িঘর ও ফসলি জমি বিলিন হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে

ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ জালালপুর গ্রামের দেরাজ মোল্লা বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙ্নরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে অচিরেই এ সব গ্রাম ও ঘরবাড়ি যমুনা নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাবে। মানুষজন সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাবে।

একই কথা জানান ওই গ্রমের আব্দুল হামিদ, দুলাল শেখ, তয়জাল মোল্লা এবং আরকান্দি গ্রামের নুরুল ইসলাম ও আলমগীর হোসেন।

ভাঙ্ন প্রতিরোধে দ্রুত পানি উন্নয়ন বোর্ডের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

এ বিষয়ে উপজেলার সোনাতনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বলেন, “পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বারবার তাগিদ দেওয়ার পরও তারা সময় মত ব্যবস্থা না নেয়নি। ফলে এ বছরও বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই নদী তীরের গ্রামগুলোতে ভাঙন শুরু হয়েছে।”

খুকনি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুল্লুক চাঁদ বলেন, “নদী ভাঙনে সব হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্থরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে “

এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. শামসুজ্জোহা বলেন, অচিরেই ভাঙন এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হবে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, “ভাঙনরোধে স্থায়ী বাঁধ ও তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে ভাঙন সমস্যা আর থাকবে না। একনেকে প্রকল্পটি পাশ হলেই কাজ শুরু করা হবে।”