শনিবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এই সাতজনের ডেল্টা ধরনে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি আইইডিসিআর জানিয়েছে।
ভারতে উদ্ভূত করোনাভাইরাসের অতিসংক্রামক ধরনটির নাম ডেল্টা ধরন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই ধরনটির সংক্রমণ বাংলাদেশেও ঘটছে।
গত ১৮ মে বিভিন্ন বয়সী ৬৩ জন শ্রমিক চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ট্রাকে করে নবাবগঞ্জের কৈইলাইল ইউনিয়নের মাতাবপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজের জন্য আসেন।
পরে তাদের মধ্যে কয়েক জনের জ্বর, ঠান্ডা ও কাশিসহ করোনাভাইরাসের সংক্রমিত হওয়ার বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শহিদুল বলেন, ২৩ মে খবরটি জানতে পেরে তারা গিয়ে শ্রমিকদের নমুনা পরীক্ষা করতে চাইলে তারা প্রথমে রাজি হননি।
পরে ২৬ মে ইউএনও ও স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় আলাদাভাবে মেডিকেল টিম গঠন করে ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১০ জনের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হলে ফলাফল ‘পজিটিভ’ আসে।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শহিদুল বলেন, তাদের শরীরে করোনাভাইরাসের ভারতে পাওয়া ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যেতে পারে আশঙ্কায় সেদিনই ঢাকার আইডিইসিআরে নিয়ে নমুনা দেওয়া হয়।
“পরে ওই ১০ জনের মধ্যে সাতজনের শরীরে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরন পাওয়ার বিষয়টি আমরা বৃহস্পতিবার নিশ্চিত হই।”
এই ১০ জনকে ঢাকার বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।