শনিবার সকাল ৬টা থেকে ১১ জুন দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই লকডাউন কার্যকর থাকবে বলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান জানিয়েছেন।
খোরশেদ আলম খান জানান, শুক্রবার বিকালে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, লকডাউনে নোয়াখালী জেলা সদর থেকে দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ থাকবে। অটোরিকশায় দুই জনের বেশি যাত্রী নেওয়া যাবে না।
তবে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, ফায়ার সার্ভিস, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন, ইন্টারনেট, চিকিৎসা সেবা, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী পরিবহন কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও পরিষেবাসমূহ লকডাউনের আওতার বাইরে থাকবে বলে জানান তিনি।
নোয়াখালী পৌরসভা ছাড়াও লকডাউনের আওতায় থাকবে সদর উপজেলার নোয়ান্নই, কাদির হানিফ, বিনোদপুর, অশ্বদিয়া, নেওয়াজপুর এবং নোয়াখালী ইউনিয়ন।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী।
এছাড়া জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার, পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম সামছুদ্দিন জিহান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার জানান, নোয়াখালীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১১৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে এবং এক জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে করোনা আক্রান্তের হার ৩৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
তিনি আরও জানান, জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৮১৩ এবং মৃত্যু হয়েছে ১২৩ জনের। মোট আক্রান্তের হার ১০ শতাংশ ও মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
সিভিল সার্জন অফিস জানিয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলার ২৩ জন, সুবর্ণচরের দুই জন, বেগমগঞ্জের ৪১ জন, সোনাইমুড়ীর আট জন, চাটখিলের ১২ জন, সেনবাগের ১৭ জন, কোম্পানীগঞ্জের চার জন এবং কবিরহাটের ১৬ জন রয়েছেন।
জেলায় আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন দুই হাজার ৩৪ জন। কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৩৮ জন ও আইসোলেশনে আছেন আরও নয় জন। সদর উপজেলায় আক্রান্তের হার সব চেয়ে বেশি।