বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টার মধ্যে কোভিড ওয়ার্ড ও আইসিইউতে তারা মারা যান বলে হাসপাতালে উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান।
তিনি বলেন, “মৃতদের মধ্যে ১০ জনের করোনাভাইরাস পজেটিভ ছিল। বাকি ছয়জন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। নমুনা পরীক্ষার আগেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।”
তাদের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নয়জন, রাজশাহীর ছয়জন ও নওগাঁর একজন।
এ নিয়ে গত ২৪ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত ১২ দিনে হাসপাতালের করোনা ইউনিট ও আইসিউতে ৯৩ জন মারা গেলেন; যাদের মধ্যে ৫৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন।
ডা. সাইফুল বলেন, ১৬ জনের মধ্যে হাসপাতালের আইসিইউ পাঁচজন মারা যান। এছাড়া ২৫ নম্বার ওয়ার্ডে তিনজন, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে দুইজন, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের তিনজন ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে দুইজন এবং ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে একজন।
এই ওয়ার্ডগুলোতে করোনা উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের প্রথমে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এদিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডগুলোতে রোগীর চাপ বাড়ছেই। শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২২৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে ৩২ জন। যাদের মধ্যে ১৩ জন রাজশাহীর, ১৫ জন চাঁপাইনবাবগঞ্জের, পাবনার ৩ জন ও নাটোরের একজন।
বৃহস্পতিবার রাজশাহীর দুইটি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার পর আরও ১৮৮ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ল্যাবে ৫২৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল।
এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১৫২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮২, রাজশাহীর ২৮৪ জনের নমুনার মধ্যে ৭৪ এবং নাটোরের ৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩২ জনের দেহে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে বলে সাইফুল জানান।
এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাজশাহীতে অনির্দিষ্টকালের বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকল ৬টা পর্যন্ত দোকান-পাট, বিপনি বিতান ও মানুষের চলাচল বন্ধ থাকবে।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক বলেন, প্রথমদিন প্রশাসন দোকান-পাট বন্ধ করে দিয়ে লোকজনকে ঘরে ফেরার নির্দেশ দেয়। নতুন বিধিনিষেধ নিশ্চিত করতে নগরীতে ছয়টি ও প্রতিটি উপজেলায় একটি করে ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করবে।
“প্রথমদিন শুধু জানান দেওয়া হলেও দ্বিতীয় দিন থেকে বিধি-নিষেধ পালনে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”