বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘করোনা প্রতিরোধ’ বিষয়ক এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ইতিমধ্যে নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ দেশে ভারত সীমান্ত সংলগ্ন আরও কয়েকটি জেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, কয়েকদিনের গড় হিসাবে সাতক্ষীরায় করোনাভাইরাস শনাক্তের হার ৫৭ শতাংশ।
করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং প্রাতিষ্ঠানিক ও পারিবারিক কোয়ারেনটিনে আছেন ২৪৫ জন। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জেলায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৪৭ জন।
জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানান, আগামী শনিবার থেকে এক সপ্তাহের লকডাউনে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনাকাটার জন্য সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা থাকবে। তবে ওষুধের ফার্মেসি, হাসপাতাল, ক্লিনিক, অ্যাম্বুলেন্স এবং বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে।
“দূরপাল্লা ও আন্তঃজেলা বাস চলাচল এই সময় বন্ধ থাকবে। মোটরসাইকেল চলাচলও বন্ধ থাকবে। সাতক্ষীরার সঙ্গে যশোর ও খুলনার সড়ক যোগাযোগের পয়েন্টগুলিতে পুলিশ চেকপোস্ট থাকবে। সীমান্তে পারাপার বন্ধ থাকবে।”
শহরে ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবে; বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের জরিমানা করা হবে বলেও জেলা প্রশাসক জানান।
সভায় সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়াতসহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তারাও বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সংসদ সদস্য রুহুল হক ও সংসদ সদস্য মুস্তফা লুৎফুল্লাহও বক্তব্য রাখেন।