বুধবার সকালে ১১ ও ১২ নম্বর ক্লাস্টারের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয় বলে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান।
আহতরা হলেন ১১ নম্বর ক্লাস্টারের সিরাজুল ইসলাম (৩৭), ৪৯ নম্বর ক্লাস্টারের হাসমত উল্লাহ (২৫), ৫৩ নম্বর ক্লাস্টারের আব্দুল মোতালেব (২০) ও ৫০ নম্বর ক্লাস্টারের সালামের মেয়ে আনিকা (৯ মাস)।
কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির ও তার বাইরে অবস্থান নিয়ে থাকা প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে নিয়ে নানা সামাজিক সমস্যা সৃষ্টির প্রেক্ষাপটে তাদের একটি অংশকে হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার বিরান দ্বীপ ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার।
সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে মোটামুটি ১০ হাজার একর আয়তনের ওই দ্বীপে এক লাখের বেশি মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে পাঁচ দফায় মোট ১২ হাজার ২৮৪ জন রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করেছে সরকার।
“বুধবার সকালে তাদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে সিরাজের ডান হাতের কব্জি ফেলে দেয়।”
ভাসানচর থানার ওসি মাহে আলম জানান, এই ঘটনায় এখনও কোনো পক্ষ থানায় লিখিতি অভিযোগ দেয়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।