বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নের হরহর গ্রামের ধানক্ষেত থেকে লাশটি উদ্ধার হয় বলে গৌরনদী থানার ওসি আফজাল হোসেন জানান্।
নিহত নাজনীন আক্তার বগুড়ার সদর উপজেলার সাবগ্রাম এলাকার আব্দুল লতিফ প্রমাণিকের মেয়ে এবং সৈয়েদ আহাম্মেদ কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী ছিলেন।
ওসি বলেন, এক বছর আগে ফেইসবুকের মাধ্যমে নাজনীনের সঙ্গে বগুড়া জাহাঙ্গীরাবাদ সেনানিবাসের পরিচ্ছন্নতা কর্মী সাকিব হোসেন হাওলাদারের পরিচয় হয়। ছয় মাস আগে তারা বিয়ে করেন। সাকিবের বাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় হলেও গৌরনদীর বাটাজোরে একটি বাড়িতে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন।
জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে হত্যার পর গুমের কথা স্বীকার করে সাকিব। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নাজনীনের লাশ উদ্ধার করে বলে জানান ওসি আফজাল।
“এতে স্বামীর উপর ক্ষুব্ধ হন নাজনীন। এনিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে নাজনীনকে হত্যা করে সাকিব। এরপর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ বস্তাবন্দি করে ফেলে দেয়।”