বুধবার দুপুর ২টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক হারুন অর রশিদ এ ঘোষণা দেন।
৩ জুন রাত ১টা থেকে ৯ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত এ লকডাউন কার্যকর থাকবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, এ সাতদিন এই ২ এলাকায় জরুরি পরিসেবা সরকারি অফিস, কাঁচামাল, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি, ওষধের দোকান ছাড়া সকল প্রকার গণ পরিবাহন, শপিংমল, হোটেল, খাবারের দোকান বন্ধ থাকবে।
এছাড়া মান্দাসহ সীমান্ত ঘেসা সাপাহার, পোরশা উপজেলায় হাট বাজার বন্ধ থাকবে। এসব এলাকায় আড়তে ও বাজরে আম কেনাবেচা নিরুৎসাহিত করে বাগান থেকে আম কেনাবেচার জন্য উৎসাহিত করা হবে।
এ সব নির্দেশনা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণাও দেওয়া হয় সভায়।
এদিতে পার্শ্ববতী চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী জেলায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২৫ মে থেকে নওগাঁর নিয়ামতপুর, পোরশা ও মান্দায উপজেলায় সতর্ক অবস্থায় জারির পর পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
এর পাশাপাশি ভারতীয় সীমান্তের চার উপজেলা ধামইরহাট, পত্নীতলা, সাপাহার ও পোরশায় বিজিবির পক্ষ থেকে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
নওগাঁ সিভিল সার্জন এবিএম আবু হানিফ জানান, ঈদের আগে জেলায় করোনাভাইরাস শনাক্তের হার ছিল গড়ে ১৮ ভাগ। বর্তমানে সেটি বৃদ্ধি পেয়ে ২৫ ভাগ শনাক্ত হচ্ছে।
চলতি জুন মাসের ২ দিনে বরোনাভাইরাসে তিনজনের মৃত্যু এবং ৮২ জন শনাক্ত হয়েছে।