গত তিন দিন ধরে কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার বজরা এবং গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের সীমানায় কাশিম বাজার লকিয়ার পাড় এলাকায় ভাঙন চলছে। এতে ‘অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি, দোকান, মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা এবং মুল্যবান শতাধিক গাছ নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে’।
মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, বন্যা শুরুর আগে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে তিস্তা নদী তার ভয়াল রূপ দেখাতে শুরু করেছে।
নদীর ভাঙনে কাশিম বাজার হাট, নাজিমাবাদ প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাশিম বাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ সহস্রাধিক বাড়িঘর ঝুঁকিতে রয়েছে। ভাঙন কবলিত পরিবারগুলো মানবেতর জীবনযাপন করছে।
বৃষ্টির পানি এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তা নদী সংলগ্ন চরের জমির উঠতি ফসলসহ বসতবাড়ি বিলীন হচ্ছে। মূল্যবান গাছপালা কেটে সরিয়ে নেওয়ার সময়ও মিলছে না তাদের।
গত সোমবার নদীর ভাঙনে ৫টি আধাপাকা ঘর বিলীন হয়েছে বলছেন স্থানীয়রা।
“দ্রুত ভাঙন রোধে কাজ না করলে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।”
কাশিম বাজার হাট, নাজিমাবাদ প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাশিম বাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ সহস্রাধিক বাড়িঘর ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে বলেন তিনি।
ছকিনা বেগম বলেন, “ঘরবাড়ি নদীত চলি গেচে। ছোয়া পোয়াক নিয়া খোলা আকাশের নিচে কাটা নাগছে।
এ ভাঙনের কথা ‘শুনেছেন’ জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরে-এ-জান্নাত রুমি বলেন, “বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করা হবে।”
তবে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম মনে করেন তিস্তার ভাঙন কবলিত এ এলাকায় স্থায়ী বাঁধ প্রয়োজন।
তবে চলমান ভাঙন রোধে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শুরু হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।