মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কয়রার মহারাজপুর ইউনিয়নের দশহালিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মহারাজপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর দেয়াড়া ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য বাবুল হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পর বাঁধ ভেঙে মহারাজপুর এবং পাশের বাগালী ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়। নিয়মিত জোয়ার-ভাটা আসা-যাওয়ার কারণে ওই বাঁধ এখনও মেরামত করা সম্ভব হয়নি।
তাই স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধটি মেরামত করছিলেন এলাকার কয়েকশ মানুষ। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ট্রলারে করে সেখানে যান সাংসদ আক্তারুজ্জামান।
“সংসদ সদস্যকে দেখেই বাঁধে কাজ করা লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তারা এমপির ট্রলারের দিকে কাদা ছুড়ে মারতে থাকেন। বাধ্য হয়ে সেখান থেকে ট্রলার নিয়ে চলে যান বাবু।”
পরে অবশ্য এমপি আবার ফিরে আসেন বলে জানান এই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।
“পরে এমপি সাহেব বক্তৃতা করলে তারা আবার শান্ত হয়ে যায়। তেমন কোনো বড় ঘটনা না।”
স্থানীয়দের দাবিকে যৌক্তিক উল্লেখ করে এ ঘটনা প্রসঙ্গে এমপি আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, বারবার বাঁধ ভাঙে আর বারবার স্বেচ্ছাশ্রমে তাদের কাজ করতে হয়। এ কারণে এলাকার এমপির ওপর তাদের ক্ষোভও বেশি।
ভাঙন এলাকায় কাজ করছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। সেখানে গেলে তাকে দেখে মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে টেকসই বেড়িবাঁধের দাবিতে বিক্ষোভ করেন বলে জানালেও তার দিকে কাদা ছোড়ার ঘটনা ঘটেনি বলছেন তিনি।
তিনি জানান, উপকূলের সবচেয়ে দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা খুলনার কয়রা উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় মানুষরা চান টেকসই বেড়িবাঁধ। প্রতি বছর ভাঙনে তারা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দেওয়া তথ্য মতে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে কপোতাক্ষ, কয়রা ও শাকবেড়িয়া নদীর পানি জোয়ারে ৬ থেকে ৭ ফুট বৃদ্ধি পায়। এতে উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ১১টি স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ ভেঙে এবং উপচে লোকালয় প্লাবিত হয়। বাড়িঘরে জোয়ারের পানি ঢোকায় ২৫ হাজারের মতো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে।