সোমবার অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই মেয়েকে সোমবার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে রাজাপুর থানা ওসি শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন।
এর আগের রাতে ধর্ষণ ও মারামারির অভিযোগে চারজনকে আসামি করে পৃথক দুইটি মামলা করেন ভূক্তভোগীর এক স্বজন।
মামলার প্রধান আসামি রাজাপুর উপজেলার পুটিয়াখালী এলাকার মো. শাহ জামান হাওলাদারের ছেলে মো. বেল্লাল হাওলাদার (২৫)।
ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, এ দুই মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মামলা উদ্ধৃত করে ওসি জানান, গত ২৬ মে বেল্লাল হাওলাদার স্কুলছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পাশের কলাবাগানে জোরপূর্ব ধর্ষণ করেন। এ কাজে তাকে সহায়তা করেন তাওহীদ মোল্লা। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ভুক্তভোগীকে ভয়ভীতি দেখানোও হয়।
ঘটনা জানতে পেরে ২৯ মে রাতে ওই মেয়ের বাবা বেল্লালের পরিবারের সদস্যদের ডেকে বিচার চাইলে তাদের মধ্যে ঝগড়া বাধে।
এ সময় মেয়েটির বাবাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে এবং দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে বেল্লালের পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায় বলেন তিনি।
আহতকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।