রোববার সকালে একই গ্রামের কৃষক আবদুল বাছেত মিয়া (৫৫) জানান, গত দশ দিনে তার পাঁচবিঘা জমি নদীতে তলিয়ে গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কেউ ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র সরিয়ে নিচ্ছেন, কেউ নদ থেকে দূরে নতুন করে একচালা ঘর তুলছেন। আশ্রয়হীন হয়ে পড়া দেড় শতাধিক মানুষ সরকারি জায়গা ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে নলকূপ বিলীন হওয়ায় খাবার পানির অভাব দেখা দিয়েছে।
তবে তাদের রক্ষায় সরকারি কোনো পরিকল্পনার কথা জানাতে পারেনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তাব্যক্তিরা।
কুন্দেরপাড়া গ্রামের কৃষক হাসমত আলী (৪৫) বলেন, গত দশদিনে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে আমার তিনটি ঘর ও বসতভিটা বিলীন হয়েছে। ঘরে থাকা সাতমণ ধান ভেসে গেছে কিন্তু ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
“মানসের জাগাত এ্যাকনা ঘর তুলি আচিনো, তাক সাতদিন আগে ভাঙি গেচে। তকন থাকি বানদোত (বাঁধে) ছাপরা (একচালা ঘর) তুলি আচি।”
খারজানি গ্রামের কৃষাণী আয়না বেগম (৫৫) জানান, নদের ভাঙনে তার চারটি টিনের ঘর, বসতভিটা ও ছয়বিঘা জমি নদীতে বিলীন হয়েছে।
এভাবে ভাঙতে থাকলে অল্পদিনের মধ্যে গোটা গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে বলে শঙ্কা তার।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, কুন্দেরপাড়া ও খারজানি গ্রাম দুইটি ব্রহ্মপুত্র নদের ওপারে অবস্থিত। ওই দুই গ্রামে ভাঙন রোধে বর্তমানে কোনো কর্মসূচি নেই।