স্থানীয়দের মধ্যে শঙ্কা সৃষ্টি হওয়ায় আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে।
শনিবার রাতে এই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিষয়টি বন্দর ও শুল্ক কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলেও মেহেদী হাসান খান বাবলা জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থলবন্দরে ভারত থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে আসা ট্রাক চালকদের মাধ্যমে করোনার নতুন ‘ভ্যারিয়েন্ট’ [ধরন] সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে।
“বাংলাবান্ধাসহ পুরো তেঁতুলিয়া উপজেলার তিন দিকে ভারত সীমান্ত থাকায় স্থানীয় ও উপজেলাবাসীর সুরক্ষার কথা চিন্তা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
রোববার থেকে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বাংলাবান্ধার বিপরীতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ফুলবাড়ি ইম্পোর্টার্স-এক্সপোর্টার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনকেও বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলন বলেন, স্থলবন্দরে বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পণ্য সংশ্লিষ্ট নানা কাজে স্থানীয় লোকজন জড়িত।
“দেশে কয়েকদিন আগে করোনার ভারতীয় ‘ভ্যারিয়েন্ট’ শনাক্ত হওয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েন এই সীমান্ত উপজেলার বাসিন্দারা। বিশেষ করে বন্দর সংশ্লিষ্ট স্থানীয়রা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। এজন্য নিজের ও এলাকার সুরক্ষায় একাধিকবার তারা বিষয়টি আমাকে জানান।”
এ নিয়ে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও বন্দর সংশ্লিষ্ট লোকজনকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে তিনি জানান।