রোববার দুপুরে মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতের বিচারক মো. মিজানুর রহমান এ আদেশ দেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. রুহুল আমিনের জামিন একজন আয়কর আইনজীবী।
আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) শরীফ উদ্দীন হাসু জানান, জামিন আবেদন করে আদালতে হাজির হন জেলা জামায়াত সেক্রেটারি রুহুল আমিন এবং পৌর জামায়াতের আমির মাসুদ পারভেজ রাসেল।
“এ সময় রাসেলের জামিন মঞ্জুর করা হলেও রুহুল আমিনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। পরে তাকে কারাগারে নেওয়া হয়।”
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ মার্চ শহরের কবরী রোডে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে শরীফ হাসান নামে এক জামায়াত নেতাকে আটক করে পুলিশ।
তার কাছ থেকে ‘জিহাদি’ বই উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ‘জিহাদি’ বইগুলোর মধ্যে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমিরের লেখা ‘বিতর্কিত জিহাদি’ বইও ছিল।
আটক শরীফের স্বীকারোক্তিতে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি রুহুল আমিনের বাসা এবং আয়কর চেম্বার তল্লাশি করে একই ধরনের বই উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় পরদিন পুলিশ বাদী হয়ে সে সময় গ্রেপ্তার আসামি শরীফ, পলাতক জেলা জামায়াত সেক্রেটারি রুহুল আমিনসহ তিন জনের নাম উল্লেখ এবং ১০ থেকে ১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করে।
এরপর জেলা জামায়াত সেক্রেটারি রুহুল আমিনসহ অন্য আসামিরা গত ২৪ মার্চ উচ্চ আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালিন জামিন লাভ করেন।
আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় রোববার আসামিরা নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন।