কোভিড-১৯: গোপালগঞ্জে ২ ইউনিয়ন লকডাউন

কারোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী বেড়ে যাওয়ায় গোপালগঞ্জ সদরের সাতপাড় ও বৌলতলী ইউনিয়নে সাত দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 May 2021, 06:09 PM
Updated : 27 May 2021, 06:09 PM

বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগ এই দুই ইউনিয়নে লকডাউন কার্যকর করে।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্র্তা মো. রাশেদুর রহমান জানান, নিত্য প্রয়োজনীয পণ্য, ওষুধ ও কৃষিপণ্যের দোকান লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে। এসব দোকান সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

“কঠোর লকডাউনে অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, এনজিওর কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ব্যাংক ও এনজিওকে চিঠি দিয়ে অবহিত করা হয়েছে।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরও জানান, বৌলতলী ইউনিয়নের তেলিভিটা গ্রামের এক ব্যক্তি করোনার উপসর্গ নিয়ে সাত দিন আগে মৃত্যুবরণ করেন। পরে ওই পরিবারের আরও  তিন জন করোনায় আক্রান্ত হন।

“এছাড়া মারা যাওয়া ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ওই গ্রামের ১৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪১ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়।” 

ইউএনও বলেন, হিন্দু অধ্যুষিত বৌলতলী ও সাতপাড় ইউনিয়নের মানুষ বৈধ ও অবৈধ পথে ভারত যাতায়াত করে থাকে। তাই আক্রান্তদের মধ্যে ভারতীয় ধরন থাকতে পারে।

“তাই সংক্রমণ যাতে বাড়তে না পারে সেজন্য সাতপাড় ও বৌলতলী ইউনিয়নের সব হাটবাজার লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।”

ওই এলাকার মানুষের করোনা পরীক্ষা অব্যাহত রাখা হবে এবং গণপরিবহন চলাচল সীমিত করা হবে বলে জানান ইউএনও।

অতিপ্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষকে ঘরের বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে উল্লেখ করে ইউএনও বলেন, লকডাউন চলাকালে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে সরকারি খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হবে।

গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার সাকিবুর রহমান জানান, এ পর্যন্ত গোপালগঞ্জে করোনায় ৩ হাজার ৭৯১ জন আক্রান্ত হয়েছেন; মৃত্যুবরণ করেছেন ৩৯ জন। গত মার্চে গোপালগঞ্জে আক্রান্তের হার ছিল ৪.৫ শতাংশ। মে মাসে আক্রান্তের হার ১৪.৫০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলার তেলিভিটা গ্রামে দুই দফা পরীক্ষায় ২৫ শতাংশ করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়েছে।

এটি নিয়ন্ত্রণে লকডাউনসহ প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ জেলা প্রশাসন ও পুলিশের সহযোগিতায় স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।