ইয়াসের জলোচ্ছ্বাসে সাতক্ষীরায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি 

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসে সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় প্লাবনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

সাতক্ষীরা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 May 2021, 04:16 PM
Updated : 26 May 2021, 04:16 PM

বুধবার দুপুরের পর জোয়ারের সময় ৫/৬ ফুট উচ্চতার পানি লোকালয়ে ঢুকে ঘরবাড়ি, মাছের ঘের, কাঁকড়া খামার, ফসলি জমি ভাসিয়ে নিয়ে যায়।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল জানান, দুপুরের দিকে পূর্ণিমার পূর্ণ জোয়ারের সময় নদীতে ৫/৬ ফুট পানি বৃদ্ধি পায়। এ সময় শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালিনি, মুন্সিগঞ্জ, কৈখালী ইউনিয়ন, আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা, প্রতাপনগরসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করে।

“একই সময়ে কালিগঞ্জ ও দেবহাটা উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ইছামতি নদী, কালিন্দি নদী ও কাকশিয়ালি নদীর পানি পার্শ্ববর্তী লোকালয় প্লাবিত করে।”

দুপুরের পর জেলায় প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছে।

শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ভবতোষ মন্ডল বলেন, উপকূলবাসীকে নিয়ে তিনি সারা বছর আন্দোলন করলেও কেউ স্থায়ী টেকসই বেড়িবাঁধের বিষয়টিকে কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না। ফলে মানুষের জানমালের বারবার ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে।

দাতিনাখালী গ্রামের চিংড়ি চাষি আজিজুর রহমান বলেন, “চোখের নিমেষেই চুনা নদীর বাঁধ ভেঙে এলাকার বাড়িঘর, ফসলি জমি, মাছের ঘের সবকিছু তলিয়ে গেছে। চলাচলের রাস্তাটিও পানিতে নিমজ্জিত।

তিনি বেড়িবাঁধ সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

আশাশুনির খাজরার কৃষ্ণ ব্যানার্জী বলেন, মানুষ উপকূলীয় বেড়িবাঁধ যখন জোয়ারের তোড়ে উপচে পড়ে লোকালয়ে জল ঢুকছে তখন নারী-পুরুষ সবাই মিলে ঠেকানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে।