হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বিভিন্ন ইউনিয়নে বেড়িবাঁধ উপচে পানি ঢুকে পড়েছে।
দুর্গত এলাকার লোকজনেদর জন্য সরকারিভাবে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে খাদ্য সামগ্রী পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
এছাড়া পুকুর, মৎস্য খামার এবং ফসলি জমি ভেসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সোনাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জানান, বুধবার দুপুরের দিকে জোয়ারের তীব্রতা খুবই বেশি ছিল। এ সময় স্বাভাবিকের চেয়ে ছয় থেকে সাত ফুট বেশি উচ্চতায় জোয়ারের পানি বেড়িবাঁধের ওপর দিয়ে গেছে। এতে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহরাজ উদ্দিন জানান, দ্বীপে কোনো বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানি অতি সহজে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। দুপুরের দিকে শুরু হওয়া জোয়ারে দ্বীপের বেশির ভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এ সময় বেশকিছু কাঁচা ঘর ধসে পড়ে।
চর ঈশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হালিম আজাদ জানান, আগের রাত থেকে বুধবার দুপুরের জোয়ারে তার ইউনিয়নের বেশিরভাগ বাড়িঘর, দোকানপাট ও সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে।
ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে পানিবন্দি লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।