হাতিয়ায় জোয়ারে সাত ইউনিয়ন প্লাবিত

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা ও বঙ্গোপসাগর উপকূলে অস্বাভাবিক জোয়ারে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

নোয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 May 2021, 03:18 PM
Updated : 26 May 2021, 03:18 PM

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বিভিন্ন ইউনিয়নে বেড়িবাঁধ উপচে পানি ঢুকে পড়েছে।

এসব এলাকার লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়ার জন্য স্থানীয় ইউপির চেয়ারম্যান ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পিপিসির সদস্যদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

দুর্গত এলাকার লোকজনেদর জন্য সরকারিভাবে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে খাদ্য সামগ্রী পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

স্থানীয় লোকজনের তথ্য অনুযায়ী, নিঝুম দ্বীপ, চর ঈশ্বর, সুখচর, সোনাদিয়া, জাহাজমারা, নলচিরা, হরনী, চানন্দি ও তমরদ্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ দিয়ে স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ৬ ফুট উচ্চতায় লোকালয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে।
এ সময় বেশকিছু কাঁচা বাড়িঘর, দোকানপাট, কয়েক হাজার গবাদী পশু, হাঁস-মুরগি জোয়ারের তোড়ে ভেসে গেছে।

এছাড়া পুকুর, মৎস্য খামার এবং ফসলি জমি ভেসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এসব এলাকার কয়েক হাজার লোক পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। গৃহহারা লোকজন বেড়িবাঁধে আশ্রয় নিয়েছে বলছেন তারা।

সোনাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জানান, বুধবার দুপুরের দিকে জোয়ারের তীব্রতা খুবই বেশি ছিল। এ সময় স্বাভাবিকের চেয়ে ছয় থেকে সাত ফুট বেশি উচ্চতায় জোয়ারের পানি বেড়িবাঁধের ওপর দিয়ে গেছে। এতে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী দুর্যোগকবলিত এলাকার লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলেন তিনি।

নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহরাজ উদ্দিন জানান, দ্বীপে কোনো বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানি অতি সহজে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। দুপুরের দিকে শুরু হওয়া জোয়ারে দ্বীপের বেশির ভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এ সময় বেশকিছু কাঁচা ঘর ধসে পড়ে।

লোকজন ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, বিভিন্ন বাজার, উঁচু সড়কের ওপর অবস্থায় অবস্থান নিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে তিন হাজার প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

চর ঈশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হালিম আজাদ জানান, আগের রাত থেকে বুধবার দুপুরের জোয়ারে তার ইউনিয়নের বেশিরভাগ বাড়িঘর, দোকানপাট ও সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে।

রাতে জোয়ারে প্রতিস্থিতির আরও অবনতি ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা তার।

ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে পানিবন্দি লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।