মঙ্গলবার রাতে মেয়েটির বাবা (১৫) বাদী হয়ে কলমাকান্দা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা করেন বলে ওসি এটিএম মাহমুদল হক জানান।
এজাহারে বিল্লাল মিয়া (২৮) নামে এক ব্যক্তিকে প্রধান আসামি করে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়। পুলিশ রাতেই বিল্লালের বাবাকে গ্রেপ্তার করে। তিনিও এই মামলার আসামি।
বিল্লাল একটি কাঠ মিলে শ্রমিকের কাজ করেন। তার স্ত্রী প্রবাসী বলে পুলিশ জানায়।
ওসি বলেন, সদর ইউনিয়নের ওই ছাত্রী (১৫) মঙ্গলবার সকাল ছয়টার দিকে ঘর থেকে কিছুটা দূরে টয়লেটে যায়। সেখান থেকে ঘরে ফেরার সময় প্রতিবেশী বিল্লাল তাকে জোর করে তুলে নিজ ঘরে নিয়ে যায়। পরে মেয়েটির মুখ কাপড় দিয়ে বেঁধে তাকে ধর্ষণ করে বিল্লাল।
“ধর্ষণের বিষয় কাউকে না জানাতে তিনি মেয়েটিকে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতিও দেখান। কিন্তু মেয়েটি ঘরে ফিরে তার পরিবারকে বিষয়টি জানিয়ে দেয়। পরে মেয়েটির বাবা বিল্লালের পরিবারের কাছে বিচার চাইতে গেলে বিল্লালের বাবা, চাচাসহ আত্মীয় স্বজনরা তাকে মারধর করেন।”
পরে পুলিশ বিল্লালের বাবাকে গ্রেপ্তার করে বুধবার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় বলে জানান ওসি।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মেয়েটিকে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রধান আসামি বিল্লালসহ বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালানো হচ্ছে।