জেলার কয়েকটি এলাকায় অল্প পরিমাণ বাদাম চাষ হলেও তাহিরপুর উপজেলায় হচ্ছে বেশি।
উপজেলার বালিজুরি গ্রামের ৫৫ বছর বয়সী ফুল মিয়া বলেন, যাদুকাটা ও বৌলাই নদীর তীরের জমিতে একসময় ধান চাষ করতেন। সেই জমি পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে আসা বালি-পলিতে ভরাট হয়ে যায়।
“সেই থেকে প্রায় ২০ বছর ধরে বাদাম চাষ করছি। অন্যরাও ধীরে ধীরে বাদাম চাষে আগ্রহী হচ্ছে। আমি এ বছর ১৫ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। এতে আমার এক লাখ টাকার ওপর খরচ হয়েছে। আশা করছি দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার বাদাম বিক্রি করতে পারব।”
জেলা কৃষি দপ্তরের কর্মচারীরা জানান, জেলার ১১টি উপজেলার মধ্যে পাঁটি উপজেলায় চিনাবাদাম চাষ হয়। সবচেয়ে বেশি চাষ হচ্ছে তাহিরপুর উপজেলায়। জেলায় এ বছর এক হাজার ৪১০ হেক্টর জমির মধ্যে তাহিরপুরেই চাষ হয়েছে এক হাজার ১৮৫ হেক্টরে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. ফরিদুল হাসান বলেন, ভারত সীমান্ত এলাকায় নদীর তীরে যেখানে পানি জমে না সেখানে বাদাম চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া পলি-বালিতে ভরাট হয়ে যাওয়া জমিতে ধান হয় না বলে বাদাম চাষ বাড়ছে।
বালিজুরি গ্রামের কৃষক ফুল মিয়ার ক্ষেতে বাদাম তুলতে এসেছিলেন একই গ্রামের রাজিয়া বেগম। সঙ্গে তার তিন সন্তান। তার মতই ওই গ্রামের অন্তত ১৫টি পরিবারের নারীরা সন্তানদের নিয়ে ক্ষেতে এসে ভাগের বিনিময়ে বাদাম তুলে দেন বলে তারা জানান।
রাজিয়া বলেন, “আমাদের এলাকায় ভাল ফলন হয়। আমরা গৃহস্তকে বাদাম তোলায় সাহায্য করি। তারা আমাদের ভাগ দেয়। এতে আমরাও লাভবান হচ্ছি।”